Type to search

দেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে কোভিড রোগীর চাপে হাসপাতালের ফ্লোরে রেখে দেয়া হচ্ছে চিকিৎসা

জাতীয়

দেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে কোভিড রোগীর চাপে হাসপাতালের ফ্লোরে রেখে দেয়া হচ্ছে চিকিৎসা

অপরাজেয়বাংলা ডেক্স :  জেলাগুলোয় কোভিড রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় হাসপাতালগুলোতে অস্বাভাবিক চাপ তৈরি হয়েছে। বেশিরভাগ জেলায় হাসপাতালে আইসিইউ না থাকায় এবং বেডের সংখ্যা অনেক কম হওয়ায় গুরুতর রোগীরা ছুটছেন বিভাগীয় শহরের বড় হাসপাতালে। কিন্তু বিভাগীয় শহরের হাসপাতালগুলোও রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে।

শুক্রবার বিবিসি বাংলায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক সুহাশ রঞ্জন হালদার বলেন, গুরুতর রোগীর সংখ্যাও অনেক বেশি, সেজন্য বেড না থাকায় অনেককে ফ্লোরে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, খুলনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল একশো শয্যার। কিন্তু রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় আমরা ৩০টি শয্যা বাড়িয়ে সেবা দিচ্ছিলাম। কিন্তু রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় আমাদের এখন আর স্থান সংকুলান হচ্ছে না নতুন কোনও বেড যুক্ত করার। যার কারণে এখন আমরা ফ্লোরে রেখে রোগীর সেবা দিচ্ছি।

সুহাশ রঞ্জন বলেন, কোভিড রোগীর চিকিৎসা বিশেষ ধরনের হওয়ার কারণে কখনো কখনো তাদের হাইফ্লো অক্সিজেন দেয়ার প্রয়োজন হয় বা ভেন্টিলেটার দেয়ার প্রয়োজন হয়। সেকারণে এ ধরনের রোগীদের ফ্লোরে রেখে চিকিৎসা সেবা দেয়া মোটেই সম্ভব নয়।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, এখন রোগীর চাপ কিছুটা সামলানো সম্ভব হচ্ছে। আইসিইউ যাদের লাগছে, তাদের সবাইকে দিতে পারছি না। কিন্তু যাদের অক্সিজেন বেশি দরকার হচ্ছে, হাইফ্লো নেজাল ক্যানালা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক এবং স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের জেলা সভাপতি ডা. গোলাম রাব্বানী বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে সদর হাসপাতালে শয্যার অভাবে অনেক রোগী ভর্তি হতে পারছেন না। এই হাসপাতালে ১৮ বেড থেকে বাড়িয়ে ৩০ বেড করা হয়েছে। এখন ৫০ বেডের করোনা ইউনিট। এই ৫০ বেডই সব সময় ভরা থাকছে। কখনো কখনো বেডের চেয়ে অতিরিক্ত রোগীও থাকছে। তারপরও রোগী ভর্তি হওয়ার জন্য চাপ থাকছে।

তিনি বলেন, এই হাসপাতালে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মী সংকট বড় উদ্বেগ তৈরি করছে। সেজন্য শুধু বেড বাড়িয়েই ভালো চিকিসা সেবা পাওয়া যাবে না। কারণ চিকিৎসক সংকটে করোনা ইউনিটে সেবা দেয়া কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে চিকিৎসকরা বলেছেন, রোগীর চাপ আরও বেড়ে গেলে চিকিৎসা সেবা বড় সংকটে পড়তে পারে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, রোগীর সংখ্যা যে বাড়ছে, সেই বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর হাসপাতালে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আইসিইউর শয্যা সংখ্যা কোথাও আনলিমিটেড থাকা সম্ভব না বা থাকে না। কিন্তু রোগীদের দরকার অক্সিজেন। এজন্য অক্সিজেন জেনারেটর ইউনিট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে আছে। পুরনো জেলা শহরের হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রত্যেকদিনই প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। যেখানে শয্যা বাড়ানো প্রয়োজন, সেখানে বাড়বে। সেভাবেই প্রস্তুতি চলছে।

সূত্র,আমাদের সময়.কম

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *