Type to search

তালায় ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুলের বিরুদ্ধে সরকারী সম্পত্তি বিক্রির অভিযোগ

সাতক্ষীরা

তালায় ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুলের বিরুদ্ধে সরকারী সম্পত্তি বিক্রির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি\
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আজিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারী সড়ক জনপদের সম্পত্তি বিক্রি সহ মালিকানা সম্পত্তি জোর পূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে।
এঘটনায় জেলা প্রশাসক সহ আদালতে মামলা চলমান থাকলে আদৃশ্য কারনে প্রতিকার মেলেনি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের পরিবারে। এর আগে গত বছরের অক্টোবর মাসে ইউপি চেয়ারম্যানের শাস্তির দাবীতে কুমিরা এলাকায় মানববন্ধন করে স্থানীয় জনতা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক জনপদের উচ্ছেদ অভিযানে উপজেলার কুমিরা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় দোকানপাট ভাংচুরের কারনে নিশ্ব হয়ে যায় তিন শতাধিক পরিবার। পরবর্তীতে কুমিরা ইউনিয়ন আ”লীগের সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পার্শবর্তী স্কুলের মাঠে একটি অস্থায়ী বাজার নির্মান করে দেন। এরপর ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছ থেকে প্রকল্প নিয়ে পাশে একটি অস্থায়ী বাজার সহ দুই শতাধিক দোকান নির্মান করে দেয়। এই ঘটনার কয়েকদিন যেতে না যেতেই এলাকার কয়েক ব্যাবসায়ী কাছ থেকে মোটাঅংকের টাকার বিনিময়ে দোকান বিক্রি করা শুরু করেন ওই ইউপি চেয়ারম্যান। ভুক্তভোগী কোমল রায় নামে এক নরসুন্দর বলেন, তারা প্রায় ৪০বছর ধরে কুমিরা এলাকায় নতুন বাজারের পাশে বসবাস করে আসছিল। এখানে তাদের রের্কডীয় ৩শতাংশ জমি রয়েছে। বর্তামানে ইউপি চেয়ারম্যান ক্ষমতায় আসার পর তার বাড়ির সামনের একটি ঘর জোর পূর্বক ভেঙে দিয়ে নতুন করে দুটি দোকান নির্মান করেন। কিছুদিন আগে জানতে পারেন সেই দুটি দোকান স্থানীয় জামাত নেতা আবুল হোসেন ও নাজমুল হোসেনের কাছ থেকে ১লক্ষ ৭০ হাজার ও ১লক্ষ ২০হাজার টাকায় বিক্রির করেছেন চেয়ারম্যান। তিনি বার বার ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে গেলে তাকে মারতে উৎদত হয় ও দেশ ছাড়ার হুমকি দেয় বলে দাবী তার ।পরবর্তীতে বিষয়টি স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের জানালে তাকে প্রশাসনের সহযোগিতা নিতে বলে জানান তিনি । সুজাউদ্দীন নামে স্থানীয় এক শ্রমিক নেতা বলেন,বছর তিনেক আগে ২.৫ শতাংশ জমি কিনে ৪টি দোকান ঘর নির্মান করেছিলেন তিনি।মাস তিনেক আগে চেয়ারম্যান আজিজুল তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমার দোকান দখল করে নেয়।পরবর্তীতে চাপে পড়ে আমাকে ৭০হাজারটাকা দিতে বাধ্য করে।আমি টাকা ফেরত দিয়ে বিষয়টি নিয়ে তৎকালীন সময়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করলেও কোন প্রতিকার পায়নি বলে অভিযোগ তার।পরবর্তীতে সাতক্ষীরা আদালতে একটি মামলা করেন তিনি। বর্তমানে মামলা চলমান রয়েছে।নাম প্রকাশে অনিইচ্ছুক স্থানীয় এক আ”লীগ নেতা বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান জামাত বিএনপি পৃষ্টপোশক। সে দলীয় লোক বাদ দিয়ে জামাত বিএনপির লোকদের সরকারী সহয়তার দেন। স¤প্রতি তিনি মির্জাপুর এলাকায় ১৫/১৬জন নাশকতার সাথে জড়িত লোকদের ভিজিডি সহয়তা প্রদান করেছে। তিনি আরো বলেন, কিছুদিন আগে দাদপুর এলাকায় দুই জন সুস্থ মানুষকে প্রতিবন্ধী সাজিয়ে ভাতা উত্তোলন করিয়ে সুবিধা নিচ্ছেন। এছাড়া পরিষদে জন্মনিবন্ধনে গুনতে হচ্ছে ২/৩শতটাকা বলে অভিযোগ করেন তিনি। অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল বলেন, আমি কারো কাছে দোকান বিক্রি করেনি। জনগনের সুভিদার জন্য নিজের টাকা ব্যায় করে বাজার করে দিয়েছি। জন্মনিবন্ধনে হয়রানির বিষয়টি এড়িয়ে বলেন সরকারী অফিসে নানা সময় ঝামেলা থাকতে পারে।এছাড়া তিনি কোন জামাত বিএনপিকে প্রশ্রয় দেন না বলে দাবী তার।
এ বিষয়ে সড়ক জনপদ বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বললে, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান কর্তৃপক্ষ। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম হুমায়ন কবির বলেন এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *