Type to search

টানা দুই বছর পর ১ জুন থেকে চালু হচ্ছে বাংলাদেশ-ভরত ট্রেন চলাচল

যশোর

টানা দুই বছর পর ১ জুন থেকে চালু হচ্ছে বাংলাদেশ-ভরত ট্রেন চলাচল

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর অবশেষে চালু হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল। এ রুটের যাত্রীবাহী ট্রেন তিনটি আগামী ১ জুন থেকে আবারও চলাচল করবে। ১৭ মে মঙ্গলবার  বার্তা সংস্থা টিএনএনের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

সূত্রের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, আগামী মাসে বাংলাদেশ সফরে আসছেন ভারতের কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তার ওই সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে মৈত্রী এক্সপ্রেস, বন্ধন এক্সপ্রেস ও নিউ জলপাইগুড়ি-ঢাকা মিতালী এক্সপ্রেস চলাচল আবার শুরু হবে।

মহামারির আগে ঢাকা-কলকাতা রুটে মৈত্রী এক্সপ্রেস সপ্তাহে পাঁচদিন এবং খুলনা-কলকাতা রুটে বন্ধন এক্সপ্রেস দু’সপ্তাহ পরপর চলাচল করতো। কিন্তু করোনার প্রকোপে বন্ধ হয়ে যায় এসব ট্রেন। স্বাভাবিক অবস্থায় উভয় দেশের যাত্রীদের কাছে এসব ট্রেনের ব্যাপক চাহিদা ছিল।

প্রথম ট্রেন দুটি চালু করার সময় বাংলাদেশ ও ভারত একটি করে রেক দিয়েছিল। সবশেষ চালু হওয়া মিতালী এক্সপ্রেসের রেক দিয়েছে ভারত। ২০২১ সালের মার্চে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যৌথভাবে ঢাকা-নিউ জলপাইগুড়ি রুটের ট্রেনটি উদ্বোধন করেছিলেন।

বাংলাদেশিদের কাছে মৈত্রী ও বন্ধন এক্সপ্রেস বেশ জনপ্রিয়। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে ভারতে চিকিৎসা করাতে যান লাখ লাখ মানুষ। শারীরিক জটিলতার কারণে অনেকের প্লেনে চড়ায় নিষেধাজ্ঞা থাকে, অনেকের আকাশপথে যাওয়ার সামর্থ্য থাকে না। আবার সড়কপথে যাওয়ার ধকলও নিতে পারেন না অনেকে। এ পরিস্থিতিতে তাদের একমাত্র ভরসা দু’দেশের মধ্যে চলাচলকারী ট্রেনগুলো।

তাছাড়া আগামী কয়েক বছরে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে রেল যোগাযোগে যুগান্তরী পরিবর্তন ঘটবে বলে মনে করা হচ্ছে। পদ্মা সেতু চালু হয়ে গেলে ঢাকা থেকে কলকাতা যেতে সময় লাগবে মাত্র তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা। তাছাড়া বনগাঁ লোকালকে পেট্রাপোল পর্যন্ত চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে ভারতীয় রেলের। সেক্ষেত্রে সীমান্ত পার হয়ে সরাসরি ট্রেনে উঠতে পারবেন বাংলাদেশ থেকে যাওয়া মানুষেরা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *