Type to search

ঝিকরগাছা পৌরবাসীর মন জয় করে এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক চান : মেয়র জামাল

ঝিকরগাছা নড়াইল

ঝিকরগাছা পৌরবাসীর মন জয় করে এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক চান : মেয়র জামাল

 

আফজাল হোসেন চাঁদ, ঝিকরগাছা : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-২ (চৌগাছা-ঝিকরগাছা) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হতে চান উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, পৌরসভার বারবার নির্বাচিত পৌর পিতা ও জননন্দিত মেয়র আলহাজ্ব মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামাল। তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
রাজনৈতিক পরিচয়ে তিনি ১৯৭৭-৭৮ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, শহীদ মশিউর রহমান ডিগ্রী কলেজ শাখার সাবেক যুগ্ম সম্পাদক, ১৯৮২-৮৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, ঝিকরগাছা উপজেলা শাখার সাবেক সাধারন সদস্য, ১৯৯৩-২০০৩ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঝিকরগাছা উপজেলা শাখার সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক, ২০০৩-১৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঝিকরগাছা উপজেলা শাখার সাবেক যুগ্ম সম্পাদক, ২০১৪ সাল থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঝিকরগাছা উপজেলা শাখার সিনিয়র সহ সভাপতি। রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রারম্ভে উত্তাল মার্চে ছাত্রলীগের কর্মী হিসাবে মিছিল-মিটিংসহ সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্ব-পরিবারে নিহত হওয়ার পর সেনাবাহিনী কর্তৃক তাহার পিতাকে গ্রেফতার ও তাহাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। ১৯৭৯, ৮৬, ৯১, ৯৬, ও ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী দার্য়িত্ব পালন করেন। ২০০৭ সালে ১/১১ সেনা শাসিত ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শত প্রতিকুলতার মাঝেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা, সেনাবাহিনী কর্তৃক দু’বার গ্রেফতার হয়ে ১০ মাস কারাবরণ ও নির্যাতন ভোগ করেন। নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৮৬, যশোর-২ (চৌগাছা- ঝিকরগাছা) আসনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে প্রধান পরিচালক এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে দার্য়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে সামাজিক পরিচয় বহন করে তিনি ঝিকরগাছা পৌরসভার নির্বাচিত পৌর পিতা ও জননন্দিত মেয়র, বণিক সমিতি উপজেলা শাখা, মুসলিম এতিমখানা, মাক্কিনুর হাফিজিয়া মাদ্রাসা, আল হুসাইন জামে মসজিদ, বোড ঘাট জামে মসজিদ, বায়তুল আমান জামে মসজিদ, খাদেমুল ইনসান, শহীদ আবু বক্কর স্মৃতি পাঠাগার, নতুন কুড়ি কিন্ডার গার্ডেন স্কুলের সভাপতি এবং ঝিকরগাছা-শার্শা ট্রাক মালিক সমিতির সহ-সভাপতি। ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামী রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত থেকেও তিনি ছিলেন একজন ক্রিড়ানুরাগী। তার প্রচেষ্টায় ইন্টারস্কুল ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল, ব্যাটমিন্টন খেলায় পারদর্শী হয়ে তিনি বর্তমানে ঝিকরগাছা স্পোর্টস ক্লাবের সভাপতি, ঝিকরগাছা ক্রিকেট একাডেমী, জাগরণী সংসদ ও রাসেল স্মৃতি সংসদের উপদেষ্টা। রাজনীতির চর্চায় আলহাজ্ব মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামাল যশোর জেলা পর্যায়ে সাবেক আওয়ামী লীগের জাতীয় সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের জেলা সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকদের সান্নিধ্যে যথাক্রমে, এ্যাডঃ রওশন আলী, তবিবর রহমান সরদার, এ্যাডঃ খান টিপু সুলতান, আলী রেজা রাজু, এ্যাডঃ ফারাজী শাহাদাৎ হোসেন, এ্যাডঃ শরীফ আব্দুর রাকিব, শহিদূল ইসলাম মিলন, শাহীন চাকলাদার, এবং উপজেলা পর্যায়ে হাজী নুর বক্স, ডাঃ জি সরোয়ার, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, মোস্তফা ফারুক মোহাম্মাদ, রবিউল ইসলাম, এমএ খালেক সহ প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সাথে থেকেই স্বচ্ছ রাজনীতির পরিচালনা করে আসছেন।
তার সফল পিতা মরহুম আব্দুস সোবহান’র রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিচয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, পিতা ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামী রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত থেকেও ছিলেন সফল পাট ব্যবসায়ী। ১৯৫২ ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৬২ শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ ছয় দফা আন্দোলন ও ১৯৬৯ গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ, ১৯৬২ সালের ঝিকরগাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দার্য়িত্ব পালন, ১৯৬৭-৬৮ সালে ঝিকরগাছা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন, ১৯৭৩ সালে ঝিকরগাছা ইউনিয়নের নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যানের দার্য়িত্ব পালন, ১৯৭৭-৭৮ সালে থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ১৯৮৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত ছিলেন।
সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামাল বলেন, ছাত্র জীবন থেকে আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আমার প্রয়াত পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এবং ঝিকরগাছায় আওয়ামী লীগ যাদের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম একজন ছিলেন। আমি বিগত পৌর নির্বাচনে নৌকা প্রতিক নিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে আবারও মেয়র নির্বাচিত হয়েছি। আমার জনপ্রিয়তা রয়েছে বিধায় মানুষ আমাকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করেন। আমার নিজের জন্য কিছুই চাওয়া পাওয়ার নেই। আমি আগেও সাধারণ মানুষ হিসেবে সবার সঙ্গে ছিলাম, এখনও আছি। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা, সড়কবাতি ও সুপেয় পানি সরবারহ, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ আধুনিক মডেল এবং আধুনিক ও ডিজিটাল পৌরসভা গড়ার লক্ষ্যে, পৌর পরিষদের সব সদস্য নিয়ে পৌর এলাকাকে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে সফল হয়েছি। বর্তমানে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-২ (চৌগাছা-ঝিকরগাছা) আসনে সর্বসাধারণের সাথে থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করে ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে আমিও অংশিদার হয়ে বাংলাদেশের মধ্যে চৌগাছা-ঝিকরগাছা আসনকে রোল মডেলে রূপান্তর চাই। ২০০১ সালে প্রথম মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই অদ্যবধি দিনরাত মানুষের কল্যাণে কাজ করে চলেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিক দেন তবে চৌগাছা-ঝিকরগাছা আসনটি অবশ্যই তাঁকে উপহার দিতে পারবো বলে আমি আশাবাদী।