Type to search

ঝিকরগাছায় প্রভাবশালী জামায়াতের আমির ও ইউপি সদস্যের নিকট সরকারি দপ্তর জিম্মী

ঝিকরগাছা

ঝিকরগাছায় প্রভাবশালী জামায়াতের আমির ও ইউপি সদস্যের নিকট সরকারি দপ্তর জিম্মী

 

আফজাল হোসেন চাঁদ, ঝিকরগাছা : যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার ৭নং নাভারণ ইউনিয়নের জামায়াতের আমির, আমিনী রামচন্দ্রপুর দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক, হাড়িয়া যুব উন্নয়ন বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ এর সভাপতি আসাদুজ্জামান ও ৩নং শিমুলিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মাহবুর রহমানের নিকট সরকারি দপ্তর সমুহ জিম্মী। ভুক্তোভোগী পরিবারের সদস্য বিভিন্ন দপ্তরে আবেদর করেও সঠিক বিচার থেকে বঞ্চিত।
তথ্য অনুসন্ধ্যানে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সরকারি জলমহল ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০০৯ মোতাবেক জানা যায়, ১ পৃষ্ঠায় ২(খ) তে উল্লেখ রয়েছে কোনো সমিতিতে যদি এমন কোন সদস্য থাকেন যিনি প্রকৃত মৎস্যজীবী নহেন, তবে সে সমিতি কোন সরকারি জলমহল বন্দোবস্ত পাওয়া যোগ্য হবে না। ৪ পৃষ্ঠায় ৫(ছ) জলমহল সংক্রান্ত কোন আদালতে মামলা থাকলে সংশ্লিষ্ট সংগঠন/সমিতিকে উক্ত জলমহাল বন্দোবস্ত প্রদান করা যাবে না। ৫ পৃষ্ঠায় ৫(ঢ) লীজ গ্রহিতা কোন মৎস্যজীবী সংগঠন/সমিতি তাদের নামে লীজকৃত জলমহাল কোন অবস্থাতেই সাবলীজ অথবা অন্য কোন ব্যক্তি/ গোষ্ঠিকে হস্তান্তর করতে পারবে না এবং অন্য কোন উপায়ে তা ব্যবহার করতে পারবে না। ভূমি মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা থাকলেও সেটাকে বিদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পর্দার আড়ালে লুকিয়ে থাকা অনৈতিক ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে অদৃশ্য ক্ষমতায় সমিতির সদস্যদের বয়সের সীমা পারি দিয়েও বসে আছে সভাপতির চেয়ারে আসাদুজ্জামান ও ৩নং শিমুলিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মাহবুর রহমান। সরকারের সমবায় দপ্তরকে জিম্মী করে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়াটাই তাদের কাজ। যা নিয়ে সমবায় দপ্তরে অভিযোগ হলেও কর্তৃপক্ষ নিরব। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসকের খতিয়ানে ৩নং শিমুলিয়া ইউনিয়নের উত্তর রাজাপুর মৌজায় ১৭নং জে.এল, ১০৭নং রেঃ সাঃ এর ১৫৭৯নং জমি সেচ কাজে ব্যবহার্য্য হেতু বন্দোবস্তে বহিভুক্ত। বিষয়টি উল্লেখ থাকলেও উপজেলা প্রশাসনের নিকট হতে আসাদুজ্জামানের হাড়িয়া যুব উন্নয়ন বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ উত্তর রাজাপুরের জলমহলটি ইজারা প্রদান করে সেটাকে আবার নিকটতম আত্মীয় ৩নং শিমুলিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মাহবুর রহমানের নিকট সাব লিজ দেওয়া হয়। তখন ইউপি সদস্য মাহাবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সে সাব লিজ নিয়েছে এবং সমিতিওয়ালাদের একটা বেনিফিট দিয়ে থাকি। এছাড়াও উক্ত সমিতির নামে হাড়িয়া দিঘিটিও ইজারা রয়েছে। জলমহল ইজারা গ্রহণ করার পরও জামায়াতের আমির ও সমিতির সভাপতি আসাদুজ্জামান উপজেলা সমবায় অফিসারেরা কার্যালয়ের অডিট রিপোর্টে তথ্য গোপন করে দুটির জলমহলের বিপরীতে অডিট অফিসারকে ম্যানেজ করে শুধুমাত্র হাড়িয়া দিঘিটাকে জলমহল হিসেবে ইজারা নেওয়ার কথা স্বীকার করে অডিট রিপোর্ট উপস্থাপন করেন। এবং উত্তর রাজাপুরের জলমহলটি নেওয়ার বিষয়টি চাপা দিয়ে অধিক মুনাফা লাভের জন্য গোপনে উত্তর রাজাপুরের জলমহলটি উক্ত এলাকার ক্ষমতাশালী ইউপি সদস্য মাহবুর রহমানের নিকট সাব লিজ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত থেকে রায় ডিক্রি পাওয়া ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে বিজ্ঞ আদালতের লাল ফ্লাগ তুলে পুড়িয়ে, সীমানা ও পাড় ভেঙ্গে মালিক পক্ষের প্রায় ২০লক্ষাধিক টাকা মাছ লুট করেছে বলে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে শহিদুল ইসলাম পল্লব নামের এক ব্যক্তি সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীদেরকে জানান। সংবাদকর্মীরা তথ্য সংগ্রহে জন্য উপজেলা সমবায় কার্যালয়ে গেলে কতব্যরত অফিসার মোঃ ছালাউদ্দিন সাহেব তথ্য দিতে অপরগতা প্রকাশ করেন। ইহাতে বোঝা যায় তার দপ্তর জামায়াতের আমির, হাড়িয়া যুব উন্নয়ন বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ এর সভাপতি আসাদুজ্জামান ও ৩নং শিমুলিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মাহবুর রহমানের নিকট জিম্মী। (চলবে)

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *