Type to search

জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শীর্ষ তিনে বাংলাদেশ

জাতীয়

জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শীর্ষ তিনে বাংলাদেশ

অপরাজেয়বাংলা ডেক্স : সোমবার প্রকাশিত জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়ার্ক এর ২০২১ সালের অগ্রগতিমূলক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালের পর থেকে এসডিজি সূচকে স্কোরের দিক দিয়ে সবচেয়ে বেশি এগিয়েছে বাংলাদেশ, আইভরি কোস্ট এবং আফগানিস্তান। এর বিপরীতে এসডিজি বাস্তবায়নে পিছিয়ে যাওয়া তিন দেশ হলো ভেনেজুয়েলা, ট্রুভালু ও ব্রাজিল। ডেইলি স্টার, ইউএনবি

এবারের এসডিজি সূচকে বিশ্বের ১৬৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৯তম এবং মোট স্কোর ৬৩.৫। ২০২০ সালে এই স্কোর ছিল ৬৩.২৬ ও ২০১৯ সালে ছিলো ৬৩.০২।

৮৫.৯ স্কোর নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে ফিনল্যান্ড। শীর্ষে পাঁচে থাকা অপর দেশগুলো হলো সুইডেন (৮৫.৬), ডেনমার্ক (৮৪.৯), জার্মানি (৮২.৫) ও বেলজিয়াম (৮২.২)।

দক্ষিণ এশিয়ায় ৭৫তম স্থানে রয়েছে ভুটান (৭০), ৭৯তম মালদ্বীপ (৬৯.৩), ৮৭তম শ্রীলঙ্কা (৬৮.১), ৯৬তম নেপাল (৬৬.৫), ১২০তম ভারত (৬০.১), ১২৯তম পাকিস্তান (৫৭.৭) এবং ১৩৭তম আফগানিস্তান (৫৩.৯)।

২০১৫ সালে জাতিসংঘ দারিদ্র্য বিমোচন, বিশ্ব রক্ষা এবং একটি নতুন টেকসই উন্নয়নের এজেন্ডা হিসেবে সকলের জন্য সমৃদ্ধি নিশ্চিতে ১৫ বছর মেয়াদি ১৭টি লক্ষ্য ও ১৬৯টি সহায়ক লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করে।

এসডিজির মূল ১৭টি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রয়েছে দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্যনিরাপত্তা ও উন্নত পুষ্টিমান অর্জন এবং টেকসই কৃষ্টির প্রসার, সবার জন্য সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ নিশ্চিতকরণ, সবার জন্য শিক্ষা, লিঙ্গ সমতা অর্জন ও নারী ক্ষমতায়ন, নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশনের টেকসই ব্যবস্থাপনা, সহজলভ্য জ্বালানি, সবার জন্য কর্মসংস্থান ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন, অন্ত: ও আন্তদেশীয় অসমতা কমিয়ে আনা, টেকসই নগর ও জনবসতি গড়ে তোলা, পরিমিত ভোগ ও টেকসই উৎপাদনধরণ নিশ্চিত, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় জরুরি কর্মব্যবস্থা গ্রহণ, সামুদ্রিক সম্পদের সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবহার, বাস্তুতন্ত্রের পুনরুদ্ধার ও জীববৈচিত্র হ্রাস প্রতিরোধ, ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ এবং সর্বশেষ টেকসই উন্নয়নেননর জন্য শক্তিশালী বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব।

সূচকের ১২ নম্বরে পরিমিত ভোগ ও টেকসই উৎপাদনধরন নিশ্চিত আর ১৩ নম্বরে জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাব মোকাবেলায় জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্য বাংলাদেশ অর্জন করেছে। এ দুটি অবস্থানে বাংলাদেশের রঙ ‘সবুজ’। তবে সূচকের ১৫নম্বরে বাংলাদেশের অবস্থার অবনতির তথ্য দেওয়া হয়েছে।

এসডিজি-৪ এ বাংলাদেশকে সূচকের হলুদ তালিকায় রাখা হয়েছে। এর অর্থ হল, এসব ক্ষেত্রে লক্ষ্য অর্জনে আরও অনেক কাজ করতে হবে।

এসডিজি-১, এসডিজি-২ , এসডিজি-৫, এসডিজি-৭, এসডিজি-৮, এসডিজি-১০ এ বাংলাদেশকে রাখা হয়েছে কমলা তালিকায়। অর্থাৎ এই ছয় লক্ষ্য অর্জনের পথে বাংলাদেশের সামনে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

এছাড়া এসডিজি-৩, এসডিজি- ৬, এসডিজি-৯, এসডিজি-১১, এসডিজি- ১৪, এসডিজি- ১৫, এসডিজি-১৬ও এসডিজি- ১৭তম লক্ষ্য পূরণে বাংলাদেশকে লাল তালিকায় রাখা হয়েছে। অর্থাৎ এই আটটি ক্ষেত্রে লক্ষ্য পূরণ করতে গেলে বাংলাদেশকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এসডিজির লক্ষ্য পূরণে দেশগুলোর রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি এবং রাষ্ট্রীয় নীতি গ্রহণের মধ্যে সামঞ্জস্যহীনতা রয়েছে। চলতি বছর ৪৮টি দেশে জরিপ চালিয়ে দেখা গেছে, ২৮ দেশই তাদের বার্ষিক বাজেটে এসডিজির প্রসঙ্গ রাখেনি। তারওপর মহামারী টেকসই উন্নয়নে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। মহামারীর কারণে দারিদ্র্যের হার ও বেকারত্ব বেড়েছে। সূচকের শীর্ষে থাকা ফিনল্যান্ড এবং সবচেয়ে এগিয়ে থাকা নর্ডিক দেশগুলোও মহামারীর কারণে এসডিজির বেশ কিছু লক্ষ্য পূরণে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

এসডিজি নেটওয়ার্কের প্রেসিডেন্ট জেফ্রি ডি সাকস বলেন, ‘এসডিজির যে ছয়টি মূল লক্ষ্য, সেগুলোতে জোর দিয়েই উন্নয়নশীল দেশগুলোকে আর্থিক পরিকল্পনা সাজাতে হবে। আর্থিক খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি, কর কাঠামোর সংস্কারসহ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ব্যাংকগুলো থেকে অর্থায়ন বৃদ্ধির প্রয়োজন হবে।’সূত্র,আমাদের সময়.কম

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *