Type to search

জমি রেজিস্ট্রেশনে বাড়ানো হয়েছে স্ট্যাম্পের ফি

জাতীয়

জমি রেজিস্ট্রেশনে বাড়ানো হয়েছে স্ট্যাম্পের ফি

অনলাইন ডেক্স: জমি রেজিস্ট্রেশনে বাড়ানো হয়েছে স্ট্যাম্পের ফি। মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। স্ট্যাম্প ফি ক্ষেত্র বিশেষ দ্বিগুণ থেকে চারগুণ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে, যশোরের কর্মকর্তাদের কাছে এখনো পর্যন্ত লিখিত কোনো আদেশ আসেনি বলে জানিয়েছেন। প্রজ্ঞাপন বলছে, গতকাল থেকে কার্যকর হওয়ার কথা।

 হেবার/দানের ঘোষণা দু’ টাকার পরিবর্তে এক হাজার টাকা ।২২টি খাতের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে।পহেলা জুলাই থেকে কার্যকর হবে

ভূমি ও মালিকানা সংক্রান্ত ২২ ক্যাটাগরিতে নতুন এ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। এই খবরে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ক্রেতারা। ফি বৃদ্ধির কারণে জমি রেজিস্ট্রির পরিমাণ কমতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে, রাজস্ব আদায় কমে যেতে পারে।
নতুন করে ফি ধার্য করার কারণে কমমূল্যে কেনা জমির ক্রেতাদের অধিক রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে হবে। এতে ক্রেতারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। প্রজ্ঞাপনের দেয়া তালিকার তথ্য মতে, হলফনামা আগে ছিল দুশ’ টাকা, তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে তিনশ’, বাতিলকরণ ফি ছিল দুশ’ এখন ৫শ’, বিক্রয় দলিল আগে ছিল এক দশমিক ৫ শতাংশ বর্তমানে ওই হারেই থাকছে, তবে তা দু’ কোটি টাকা পর্যন্ত। নকল দলিলের ক্ষেত্রে ৫০ টাকার দলিল ব্যবহার হলেও তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুশ’, ডিভোর্সের ক্ষেত্রে পাঁচশ টাকা থাকলেও তা বেড়ে হয়েছে দু’ হাজার টাকা।
বিনিময়ের ক্ষেত্রে এক দশমিক পাঁচ শতাংশ হলেও তা কমে দাঁড়িয়েছে এক শতাংশে, তবে তা এক কোটি টাকার বেশি না। হেবার/দানের ঘোষণা দু’ টাকার পরিবর্তে এক হাজার টাকা করা হয়েছে। দানপত্রে এক দশমিক পাঁচ শতাংশই রাখা হয়েছে। লিজের ক্ষেত্রে বছর ভিত্তিক হারে বিভাজন করা হয়েছে, বন্ধকীর (ব্যাংক) ক্ষেত্রে ২০ লাখ বিভিন্ন স্লটে ভাগ করে দেয়া হয়েছে, এতে হার না বাড়লেও ৫০ লাখ, এক কোটি ও পাঁচ কোটি টাকার লিমিট করে দেয়া হয়েছে। বণ্টননামার ক্ষেত্রে ৫০ টাকার স্থানে একশ’ টাকা করা হয়েছে, অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে মূলধন ৫০ হাজার হলে এক হাজার এবং অন্য ক্ষেত্রে দু’ হাজার ছিল। তা এখন বেড়ে এক কোটির ক্ষেত্রে দু’ হাজার এবং অন্য ক্ষেত্রে চার হাজার টাকা করা হয়েছে। স্পেশাল পাওয়ার অব এটর্নি পাঁচশ’ টাকার পরিবর্তে আটশ’ টাকা, সাধারণ পাওয়ার অব এটর্নি এক হাজারের স্থলে ১৫শ’, পাওয়ার অব এটর্নি (ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান) এক হাজারের পরিবর্তে দু’ হাজার, বন্ধকী অবমুক্তকরণ তিনশ’ টাকার পরিবর্তে পাঁচশ, নাদাবির ক্ষেত্রে দুশ’ টাকার পরিবর্তে তিনশ’ টাকা, সেটেলমেন্টের ক্ষেত্রে দু’ শতাংশ থেকে কমিয়ে এক দশমিক পাঁচ শতাংশ করা হয়েছে। সরকারি হিসেব অনুযায়ী এগুলোসহ মোট ২২টি খাতের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। যা চলতি বছরের পহেলা জুলাই থেকে কার্যকর হবে।