Type to search

জমিজমা নিয়ে সন্ত্রাসী হামলার আশংকায় অভয়নগর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

অভয়নগর

জমিজমা নিয়ে সন্ত্রাসী হামলার আশংকায় অভয়নগর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার: জমিজমা নিয়ে সন্ত্রাসী হামলার আশংকায় অভয়নগর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন অসহায় সুলতান আহমেদ(৬৫)। তিনি অভয়নগর উপজেলার সিরাজকাঠি গ্রামের এক নিন্মবৃত্তের বৃদ্ধ ব্যক্তি। বুভাবার বিকালে তিনি অভয়নগর প্রেসক্লাবে হাজির হয়ে লিখিত সংবাদ সম্মেলন করেন।
সাংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান,আমি একজন নিন্ম আয়ের বৃদ্ধ লোক । আমরা মাতা ছবুরুন্নেছা , আমার ভাই এনামুল হক, তৈয়েবুর রহমান ও আমি সুলতান আহমেদ মিলে অভয়নগর উপজেলার সিরাজকাঠি মৌজায় অবস্থিত এস এ ও আর এস রেকডীয় মালিক তারক চন্দ্র দত্তর কাছ থেকে একটি ধানী জমি ক্রয় করি। যার আর এস খতিয়ান২৩। দাগ নং ৬৩ ও ৬৪ । জমির পরিমান ৪১ ও ৬৬ শতাং মোট ১০৭ শতাং। ২০১১ সালে ওই জমি থেকে আমাদের অগোচরে আমার ভাই এনামুল হক স্থানীয় মুদি দোকানী শফিয়ার রহমানের কাছে তার অংশের ২৬ শতক জমি বিক্রয় করে। প্রকৃত পক্ষে ওই জমির দাবিদার আমরা। আমাদের অগোচরে জমিটি বিক্রি করায় আমরা শরীকানা হকদার হিসাবে আদালতে আমানতী মামলা করতে যাই। পরে দলিলের অনুলিপি তুলে জানতে পারি জমিটি সে চার লাখ টাকা দিয়ে ক্রয় করেছে। কিন্তু দলিলে তঞ্চকি করে আট লাখ টাকা মূল্য লিখেছে। আমরা যদি আমানতি মামলা করি তাহলে তার প্রকৃত দাম বাদে আরো চার লাখ টাকা দিতে হবে। এতে তার চার লাখ টাকা লাভ হবে। যে কারনে আমরা মামলা না করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বিচার চাই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি অবগত হয়ে চার লাখ টাকার বিনিময়ে জমিটি আমাদের অনুকুলে পাল্টা দলিলের মাধ্যমে ফেরৎ দেওয়ার নির্দেশ দেন। দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হয়েছে কিন্তু শফিয়ার রহমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিচার বাস্তবায়িত করে নি। সেই থেকে জমি দখল করার জন্য প্রতিনিয়ত শফিয়ার রহমান আমাদের সন্ত্রাসী দিয়ে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। এ ঘটনায় আমি বাদি হয়ে থানায় গত ১৩/ ৭/ ২০১২ ও ১৮/৭ /২০১২ তারিখে ১২৯ ও ৮৩৮ নং সাধারণ ডায়রি করি।বর্তমানে সে আরো বেপরোয় হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন সময়ে সন্ত্রাসী পাঠিয়ে হুমকি অব্যাহত রেখেছে।
এব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শফিয়ার রহমান বলেন, ‘আমি ন্যায্য টাকায় জমি কিনেছি। ইউএনও সাহেব মিটিং করে যে সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন আমি তা মেনে নিয়েছিলাম কিন্তু ওরা মানেনি’। সংবাদ সম্মেলনে সুলতান আহমেদ ছাড়া তার ভাই তৈয়েমুর রহমান ও স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।