Type to search

চৌগাছায় ভিজিডি কার্ডে অনিয়মের অভিযোগে ইউপি ভবনে তালা মারলেন মেম্বার

যশোর

চৌগাছায় ভিজিডি কার্ডে অনিয়মের অভিযোগে ইউপি ভবনে তালা মারলেন মেম্বার

 

চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি
যশোরের চৌগাছায় ভিজিডি কার্ডের তালিকায় অনিয়মের অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদ ডিজিটাল সেন্টারে তালা মেরে দিয়েছেন একজন ইউপি সদস্য।
মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার সিংহঝুলি ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারে তালা মেরে দেন ওই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের (জগন্নাথপুর) ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম। এ সময় অন্য ইউপি সদস্যরাও সেখানে ছিলেন।
জানা গেছে ডিজিডি কার্ডের আওতায় আনার জন্য উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে নতুন করে হতদরিদ্র নারীর তালিকা করা হচ্ছে। সিংহঝুলি ইউনিয়নে ১৯২ জন নারীকে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার কথা। পরিষদের মিটিংয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহীম খলিল বাদল ইউনিয়নের প্রত্যেক মেম্বারকে ৯/১০ জনের নাম তালিকা দেয়ার জন্য বন্টন করে দেন। বাকিগুলো চেয়ারম্যান নিজে দেবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়। সে মোতাবেক ইউনিয়নের ৪নং জগন্নাথপুর ওয়ার্ডের মেম্বার শহিদুল ইসলামকে ১০টি কার্ডের তালিকা দিতে বলা হয়। তিনি ১০ জনের তালিকা দিলেও চেয়ারম্যানের নির্দেশে সে তালিকা থেকে মাত্র ৩ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং সাতজনকে বাদ দেয়া হয়। একইভাবে মশিয়ূর নগর গ্রামের মেম্বার জামাল উদ্দিনকেও ১০ জনের তালিকা দিতে বলা হয়। তার তালিকা থেকেও ৩ জনের নাম দিয়ে সাত জনের বাদ দেয়া হয়।
ইউনিয়নের প্রায় প্রত্যেক মেম্বারের তালিকা থেকে’ই এভাবে বাদ দিয়ে চেয়রম্যান নিজের পছন্দমত ব্যক্তিদের তালিকা করেন। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) ইউপি সদস্যরা চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্দোক্তা এগুলো উল্টোপাল্টা করেছে। এ নিয়ে চেয়রম্যানের সাথে মেম্বারদের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। পরে ক্ষুব্ধ হয়ে জগন্নাথপুর (৪নং) ওয়ার্ডের মেম্বার শহিদুল ইসলাম ইউনিয়ন পরিষদ ডিজিটাল সেন্টারে তালা মেরে দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুুক দু’জন ইউপি সদস্য জানান সম্প্রতি সরকারি ভাবে দেয়া কম্বলও চেয়ারম্যান এভাবে নিজের মত করে বিতরণ করেছেন। তারা আরো জানান ২০১৬ সালের ৪ জুনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছিলেন চেয়ারম্যান ইব্রাহীম খলিল বাদল। এরপর থেকেই সমন্বয় না করে বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করায় ইউপি মেম্বাররা চেয়ারম্যানের উপর ক্ষুব্ধ। আগামী নির্বাচন সামনে রেখে সেটার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে ডিজিটাল সেন্টারে তালা মারার এই ঘটনা ঘটলো।
মেম্বার শহিদুল ইসলাম তালা মারার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন আমাদের আলোচনা শেষে জানানোর মত হলে আপনাদের জানাবো।
ইউপি সদস্য জামাল হোসেন বলেন আমাকেও ১০ টি নামের তালিকা দিতে বলা হয়েছিল। সেখান থেকে মাত্র ৩ জনের নাম অনলাইনভুক্ত হয়েছে। এখন অন্য দুঃস্থরা বঞ্চিত হলো। আমরা তাদের কাছ থেকে (দুঃস্থ নারীদের) ছবি, আইডি কার্ড নিয়েছি। তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছি কার্ড হবে। এখন যদি না হয় তাহলে আমাদের সম্মানটা কোথায় থাকলো? এ বিষয়ে ক্ষুব্ধ হয়েই তিনি (শহিদুল মেম্বার) তালা মেরে দিয়েছেন।
এবিষয়ে বক্তব্য নিতে ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহীম খলিল বাদলের সেলফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।