গুনাহ মাফের আশুরা

রাসুল (স.) বলেন, সকল বনী আদম গুনাহকারী। গুনাহগারদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি সর্ব উত্তম যে তওবা করে (তিরমিজি-২৪৯৯)।
রাসুল (স.) এর সহজ সরল বর্ণনার মাধ্যমে জানা গেল সকল মানুষই গুনাহকারী। কুরআন হাদিসের বিভিন্ন বর্ণনার মাধ্যমে জানা যায় নবী-রাসুলগণ নিষ্পাপ। আল্লাহ তায়লা বলেন, আল্লাহই ভাল জানেন কোথায় তাঁর রিসালাতের দায়িত্ব অর্ণন করবেন (আনয়াম-১২৪)।
এ আয়াত থেকে বুঝা যায় যে, কেবল বিশেষ মনোনীত ও নিষ্কুষ নিষ্পাপ ব্যক্তি ছাড়া কাওকে আল্লাহর এ দায়িত্ব প্রদান করেন না। নবী-রাসুলগণ ব্যতিত সকল মানুষই গুনাহগার। গুনাহ মাপের বিভিন্ন উপায় অবলম্বন আল্লাহ তায়লা নবী-রাসুলগণের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছেন। আমাদের কর্তব্য হলো এ গুলোকাজে লাগিয়ে গুনাহ মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করা।
আরবিতে আশুরা অর্থ দশ বা দশম। মহরম মাসের দশ তারিখকে আশুরা বলা হয়। এ মাসে ফজিলত পূর্ণ অনেক আমল রয়েছে তন্মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নফল রোজা রাখা। হয়রত ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, আমি রাসুল (স.) কে এই দিনে (আশুরার) এবং এই মাসে রমজানের রোজার চেয়ে অন্য কোন রোজাকে এত গুরুত্ব দিতে দেখিনি (মিশকাত)। রাসুল (স.) আরও বলেন, আমার বিশ্বাস যে, আশুরার রোজার বিনিময়ে আল্লাহ তায়ালা বিগত এক বছরের গুনাহ মাফ করে দেবেন (তিরমিজি)।
হাদিসের এ বর্ণনার মাধ্যমে যে গুনাহ মাফের ঘোষণা আসছে তা হলো ছগিরা গ্রনাহের ব্যপারে। কেননা তাওবা ব্যতিত কবীরা গুনাহ মাফ হয় না। এখন আমরা যদি রোজা রাখার সময় খালেস নিয়াতে তাওবা করি তাহলে আল্লাহ ইচ্ছা করলে আমাদের কবীরা গুনাহগুলো মাফ করে দিতে পারেন। আসুন আমরা আশুরার রোজা রাখার মাধ্যমে আল্লাহর ক্ষমা লাভের চেষ্টা করি। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন। আমিন।