Type to search

গণপরিবহনে ভাড়া বাড়লো ৬০ শতাংশ

জাতীয়

গণপরিবহনে ভাড়া বাড়লো ৬০ শতাংশ

অপরাজেয় বাংলা ডেক্স : গণপরিবহনে ভাড়া বাড়লো ৬০ শতাংশ। বুধবার থেকে কার্যকর হচ্ছে এই বর্ধিত ভাড়া।

করোনা সংক্রমণ রোধে ধারণ ক্ষমতার ৫০ ভাগ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন পরিচালনার নির্দেশনা আসার পর এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এবং দুই সপ্তাহের জন্য এ নির্দেশনা বলে জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গণপরিবহন চলাচলে নতুন নির্দেশনায় বলা হয়, গণপরিবহনের ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিতে হবে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় আন্তঃজেলা যান চলাচল সীমিত করতে হবে। প্রয়োজনে যান চলাচল বন্ধ করতে হবে। সরকারি নির্দেশনা মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস-মিনিবাস চালাতে রাজি মালিকরা। তবে সেক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ বাড়তি ভাড়া নেয়ার নির্দেশনা চান তারা।

দেশে দিনদিন করোনা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) নতুন করে ৫ হাজার ১৮১ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে, যা দেশে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ৭ মাসের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ মৃত্যু। এ অবস্থায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গণপরিবহন চলাচলে বিধিনিষেধসহ ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।

সরকারের ১৮ দফা নির্দেশনা

১) সবধরনের জনসমাগম (সামাজিক/ রাজনৈতিক/ ধর্মীয়! অন্যান্য) সীমিত করতে হবে। উচ্চ সংক্রমণযুক্ত এলাকায় সকল ধরণের জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হলো। বিয়ে/ জন্মদিনসহ যে কোন সামাজিক অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে জনসমাগম নিরুৎসাহিত করতে হবে।

২) মসজিদসহ সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।

৩) পর্যটন স্থল, বিনোদন কেন্দ্র, সিনেমা হল, থিয়েটার হলে জনসমাগম সীমিত করতে হবে এবং সকল ধরনের মেলা আয়োজন নিরুৎসাহিত করতে হবে।

৪) গণপরিবহণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং ধারণ ক্ষমতার ৫০ ভাগের অধিক যাত্রী পরিবহণ করা যাবে না।

৫) সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাতে আন্তঃজেলা যান চলাচল সীমিত করতে হবে; প্রয়োজনে বন্ধ রাখতে হবে।

৬) বিদেশ ফেরত যাত্রীদের ১৪ দিন পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক (হোটেলে নিজ খরচে) কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে হবে।

৭) নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী খোলা/ উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনপূর্বক ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবস্থা করতে হবে; ওষুধের দোকানে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।

৮) স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানসমূহ মাস্ক পরিধানসহ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।

৯) শপিং মলে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।

১০) সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাদ্রাসা, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়) ও কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।

১১) জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাত ১০ টার পর বাইরে বের হওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

১২) প্রয়োজনে বাইরে গেলে মাস্ক পরিধানসহ সকল ধরণের স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে। মাস্ক পরিধান না করলে কিংবা স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

১৩) করোনায় আক্রান্ত অথবা করোনাভাইরাসের লক্ষণযুক্ত ব্যক্তির আইসোলেশন নিশ্চিত করতে হবে। করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা অন্যান্যদেরও কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে হবে।

১৪) জরুরি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া সকল সরকারি-বেসরকারি অফিস প্রতিষ্ঠান, শিল্প কারখানাসমূহ ৫০ ভাগ জনবল দ্বারা পরিচালনা করতে হবে। গর্ভবতী, অসুস্থ ব্যক্তি এবং ৫৫ বছরের বেশি বয়স্ক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাড়িতে অবস্থান করে কর্মসম্পাদনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

১৫) সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা যথাসম্ভব অনলাইনে আয়োজনের ব্যবস্থা করতে হবে।

১৬) সশরীরে উপস্থিত হতে হয় এমন যে কোনও ধরণের গণপরীক্ষার ক্ষেত্রে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।

১৭) হোটেল-রেস্তোরাঁসমূহে ধারণ ক্ষমতার ৫০ ভাগের অধিক মানুষের প্রবেশ বন্ধ করতে হবে।

১৮) কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ এবং অবস্থানকালীন সর্বদা বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে। সূত্র, DBC বাংলা