Type to search

খুলনায় ৩ ইউপিতে সংঘর্ষ, আওয়ামী লীগের ১১ ‘বিদ্রোহী’কে বহিষ্কার

খুলনা জেলার সংবাদ

খুলনায় ৩ ইউপিতে সংঘর্ষ, আওয়ামী লীগের ১১ ‘বিদ্রোহী’কে বহিষ্কার

ওই ইউনিয়নে গতবার নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন জিয়া গাজী। কিন্তু এবার নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারহানা হালিমকে। জিয়া গাজী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এর আগে শনিবার বিকেলে বটিয়াঘাটার আমিরপুর ইউনিয়নের সৈয়দের মোড় এলাকায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ‘টেলিফোন’ প্রতীকের খায়রুল ইসলাম খান ও ‘নৌকা’ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জি এম মিলন গোলদারের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায়ও ১৫ থেকে ২০ জন আহত হন। কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি। তবে পরদিন খায়রুল ইসলাম খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেন।

একই দিন সন্ধ্যায় কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শামসুর রহমান ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আছের আলী মোড়লের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন। কয়রা থানায়ও পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে।

ভয় দেখানোর অভিযোগ

পাইকগাছা উপজেলার গড়ইখালী ইউপিতে নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ না করায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার উপজেলা মিলনায়তনে প্রার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের মতবিনিময় সভায় ওই অভিযোগ করেন চশমা প্রতীকের প্রার্থী শান্ত মণ্ডল।

খুলনা জেলা জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা এম মাজহারুল ইসলাম বলেন, জেলার ৩৪টি ইউনিয়নে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কোনো অভিযোগ থাকলে বা সহিংসতার ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাই ব্যবস্থা নেবেন।

ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করায় ১১ জন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। গত শনিবার খুলনা দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা ও কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।সূত্র,প্রথম আলো

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *