Type to search

খুলনায় শিক্ষার্থীদের হাতে ৩ ঘণ্টা অবরুদ্ধ প্রধান শিক্ষক

খুলনা

খুলনায় শিক্ষার্থীদের হাতে ৩ ঘণ্টা অবরুদ্ধ প্রধান শিক্ষক

খুলনার রূপসা উপজেলার ডোবা বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান  শিক্ষক কর্তৃক এক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব ও বিভিন্ন সময় ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদে ও প্রধান শিক্ষকের অপসরাণসহ শাস্তির দাবিতে গতকাল বুধবার ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষকদের স্কুলের মধ্যে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সময় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা স্কুলের দরজা-জানালা ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে রূপসা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বেলা ১২টার দিকে উক্ত প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে নিতে সক্ষম হয়।

স্কুলের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, ডোবা বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান  শিক্ষক দীপ্তিশ্বর বিশ্বাস বিদ্যালয়ের নবম দশম শ্রেণির ছাত্রীদের সঙ্গে বিভিন্ন সময় অশোভন আচরণ করেন। সর্বশেষ তিনি এক ছাত্রীকে  কুপ্রস্তাব দেন । এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে শত শত ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষক দীপ্তিশ্বর বিশ্বাসসহ সকল শিক্ষককে স্কুলের অফিস কক্ষে আবদ্ধ করে রাখে। এ সময় তারা প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে মিছিল করতে থাকে।

একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা স্কুলের অফিস কক্ষে ঢুকে চেয়ার-টেবিল ও অফিসের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে রূপসা থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রধান শিক্ষককে উদ্ধারের চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীরা পুলিশ সদস্যদের বাধা দেয়। প্রায় একঘণ্টা চেষ্টার পর বেলা ১২টার দিকে পুলিশ সদস্যরা অবরুদ্ধে অবস্থা থেকে প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে নিতে সক্ষম হয়।

নন্দিনী শীল, সুজয় বৈরাগী, রুপম মহন্তসহ শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন,  উক্ত প্রধান শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়ানোকালীন সময়ে অসৌজন্যমূলক আচরণ করতেন। সর্বশেষ তিনি এক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে বুধবার সকাল ৮টার দিকে শত শত শিক্ষার্থী একত্রিত হয়ে স্কুল ক্যাম্পাসের বাইরে মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশ করে।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক দীপ্তিস্বর বিশ্বাস অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমার বিরুদ্ধে একটি মহল মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাকে নাজেহাল করার চেষ্টা করছে’।

রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরদার মোশাররফ হোসেন বলেন, যাতে কেউ মারধর করতে না পারে সে জন্য অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক দীপ্তিস্বর বিশ্বাসকে উদ্ধার করে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে রূপসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুবাইয়া তাসনিম বলেন, প্রধান শিক্ষককে আমরা আইনের আওতায় এনে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

ইত্তেফাক/

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *