খুলনায় যেসব স্থানে পাওয়া যাবে টিসিবির পণ্য

সোমবার (৫ জুলাই) থেকে শুরু হয়ে টিসিবির এই কার্যক্রম চলবে ২৯ জুলাই পর্যন্ত (ঈদের ছুটি ব্যতীত)।রোববার (৪ জুলাই) রাত ১০টার দিকে টিসিবি খুলনা আঞ্চলিক কর্মকর্তা মো: আনিসুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ট্রাকে ৮০০ লিটার সয়াবিন, ৫০০ কেজি চিনি ও ৪০০ কেজি মশুর ডাল ভর্তুকি মূল্যে বিক্রি করা হবে। প্রতি লিটার সয়াবিন ১০০ টাকা এবং চিনি ৫৫ টাকা ও ডাল ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করবেন ডিলাররা। একজন ক্রেতা চার কেজি চিনি, দুই কেজি মসুর ডাল ও চার লিটার সয়াবিন তেল ক্রয় করতে পারবেন।
মো: আনিসুর রহমান আরও জানান, সোমবার (৫ জুলাই) খুলনার নগরীর গল্লামারী, এমএ বারী সড়ক, নিরালার মোড়, সাউথ সেন্ট্রাল রোড, খুলনা কলেজিয়েট গার্লস কলেজ এন্ড স্কুল, জাতীসংঘ শিশুপার্ক, সোনাডাঙ্গা মদিনা মসজিদ, দৌলতপুর শহীদ মিনার, শিরোমনি বাজার ও খালিশপুর লাল হাসপাতাল মোড়। পর্যায়ক্রমে ৩৫টি পয়েন্টে ঘুরে ঘুরে ট্রাক সেলে পণ্য বিক্রি হবে। একই স্থানে প্রতিদিন বিক্রি করা হলে অন্য এলাকার মানুষ এই সুবিধা পাবে না, সে জন্য নগরীর ৩৫টি পয়েন্টে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে প্রতিদিনই ১০টি করে পয়েন্টে টিসিবির এসব পণ্য বিক্রি করা হবে।
তিনি বলেন, খুলনা মহানগরী ছাড়াও আঞ্চলিক কার্যালয়ের আওতাধীন খুলনা, বাগেরহাট, নড়াইল, সাতক্ষীরা ও পিরোজপুর এই ৫ জেলার ৩৬টি উপজেলায় পর্যায়ক্রমে ২০টি পয়েন্টে টিসিবির পণ্য বিক্রি হবে।
ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে সোমবার থেকে এই কর্যক্রম শুরু হয়ে আগামী ২৯ জুলাই পর্যন্ত চলবে। এরমধ্যে ঈদের পাঁচ দিন সরকারি ছুটি রয়েছে।
এদিকে সোমবার থেকে সারাদেশে জরুরি সেবা হিসেবে ৪৫০টি ভ্রাম্যমান ট্রাকে চিনি, মসুর ডাল ও সয়াবিন তেল বিক্রি করার ঘোষণা দিয়েছে সংস্থাটি। কঠোর লকডাউনে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় রাখতে এবার বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। টিসিবি পণ্য বিক্রি করতে ডিলারদের ভ্রাম্যমান ট্রাকসেল কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছে।
এর আগে গত ৬ জুন টিসিবি সাশ্রয়ী মূল্যে সারাদেশে পণ্য বিক্রি শুরু করেছিল, যা চলে ১৭ জুন পর্যন্ত।
সূত্র, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম