খুলনায় অবহেলায় শিশুর মৃত্যু, ক্লিনিক সিলগালা

এদিকে এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ বি এম খালিদ হোসেন সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ক্লিনিকে অভিযান চালানো হয়। এ সময় লাইসেন্সসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না পাওয়ায় ক্লিনিকটি সিলগালা ও জরিমানা করা হয়।
আব্দুস সালাম বলেন, ছেলের পেট ব্যথা হলে তাকে এখানে নিয়ে আসি। চিকিৎসক বলেন, অ্যাপেন্ডিসাইটিস হয়েছে। অপারেশন করতে হবে। অপারেশন করার জন্য শুক্রবার (১৮ জুন) সকালে ছেলেকে ক্লিনিকে ভর্তি করি। বিকেল ৫টার দিকে চিকিৎসক ফারুক আমার ছেলের অপারেশন করেন। অপারেশনের পর ছেলের জ্ঞান ফেরেনি। শনিবার (১৯ জুন) ভোররাতেও না ফেরায় চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা তাড়াহুড়ো করে খুলনায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। ছেলে মারা গেলেও তারা খুলনায় পাঠানোর জন্য গাড়িতে তোলার চেষ্টা করলে পাইকগাছা বাজারের লোকজন বাধা দেন। এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে ইউএনও এবং পুলিশ আসে।
পাইকগাছা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সরদার ইব্রাহিম হোসেন সোহেল বলেন, শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে ভুল চিকিৎসায় তাদের কোনো অভিযোগ নেই মর্মে থানায় লিখিত দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্লিনিকটিকে সিলগালা ও জরিমানা করেছেন।
পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ বি এম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, ক্লিনিকে একটি শিশু মারা গেছে এমন খবর পেয়ে সেখানে যাই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ক্লিনিকে চিকিৎসকদের অবহেলায় শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। শিশুটির পরিবারকে বলেছি কোনো অভিযোগ থাকলে জানাতে। কিন্তু তার পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই এমনটা লিখিত দিয়েছে।
তিনি জানান, ক্লিনিকের কোনো লাইসেন্স নেই। যে রোগী মারা গেছে তার অপারেশন কে করেছে, সেই তথ্যও নেই। ওটি নোট নেই। এ কারণে ক্লিনিকটিকে সিলগালা করা হয়েছে। একইসঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।সূত্র, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম