Type to search

খাল ও খাস জমি ব্যবহার করে ব্যবসা করায় কৃষকরা ফসল উৎপাদন করতে পারেনা

নড়াইল

খাল ও খাস জমি ব্যবহার করে ব্যবসা করায় কৃষকরা ফসল উৎপাদন করতে পারেনা

নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার খড়ড়িয়া পোল বাজারের খাল ও খাস জমি দখল করে ব্যবসা
প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রায় তিন কিলোমিটার খালের দুই
পাড়েই গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরণের স্থাপনা। যে কারণে পানি প্রবাহ না থাকায়
এখন সেটা মরা খালে পরিণত হয়েছে। বিলের পানি নিস্কাশিত না হওয়ায় সারা বছর
খড়ড়িয়া বিলে পানি জমে থাকে। কৃষকরা ফসল উৎপাদন করতে পারেনা। বিলের পানি
নিস্কাশনে এলাকার সাধারণ কৃষকরা খাল দখলকারিদের স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি
জানিয়েছেন।
রমজান মোল্যা,ছবেদ আলীসহ একাধিক কৃষক জানান উপকারের পরিবর্তে খাল এখন
আমাদের মরণ ফাদে পরিণত হয়েছে। তারা বলেন,এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ
প্রভাবশালীরা খাল দখল করে বাড়ি-ঘর,দোকানপাট তৈরি করায় খাল বুজে(ভরাট)
গেছে। বর্ষাকালে বিলের পানি নদীতে নামতে পারে না। তখন আমরা ফসলও উৎপাদন
করতে পারি না। শুনিছি যারা খাল দখল করে বাড়ি-ঘর,দোকানপাট তুলিছে তাগে
দালানকোঠা ভেঙ্গে দেবে।
সবুজ রংয়ে ক্রস চিহ্নিত দোকানদার ওবায়দুল্লাহ বলেন,এই ঘরের মালিক সালাম
মোল্যা। আমি তার ভাড়াটিয়া। তিনি বলেন,মাসে এক হাজার টাকা করে ভাড়া দিয়ে
ব্যবসা করছি।
দোকান মালিককে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তাকে
পাওয়া যায়নি।

কালিয়া উপজেলা (ভূমি) অফিস সূত্রে জানা গেছে,পিরোলী ইউনিয়নের খড়ড়িয়া
মৌজার ৩৮৩০ এবং ৪৫৫৫ দাগের জমি খাস খতিয়ানভূক্ত। জমি থেকে অবৈধ দখলদারদের
উচ্ছেদের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর
নির্দেশ পত্র পাওয়া যায়। ৩ অক্টেবর কালিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি)
দখল উচ্ছেদের প্রাথমিক পর্যায়ে অভিযান পরিচালনা করে১৪টি পাকা এবং আধাপাকা
স্থাপনা চিহ্নিত করে স্থাপনার দেওয়ালে কালির দাগ দেওয়া হয়। পরে আত্মপক্ষ
সমর্থনে স্থাপনার মালিকদের নোটিশ জারি করা হয়। নোটিশের জবাব না পাওয়ায়
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য ম্যাজিস্ট্রেটও নিয়োগ করা হয়। গত দুই বছরে
কতগুলো কার্যদিবস পার হয়েছে। কিন্তু উচ্ছেদ অভিযান রহস্যজনক কারণে থেমে
গেছে।
জানতে চাইলে কালিয়া উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো.জহুরুল ইসলাম
বলেন,কালিয়া উপজেলার পিরোলী ইউনিয়নের পোল বাজারের খালের দুই পাড়ের
বেশিরভাগ জমি খাস খতিয়ানভূক্ত। খালের দুই পাড়ে শতাধিক দোকানঘর গড়ে উঠেছে।
এরমধ্যে যে স্থাপনাগুলো সরকরি জমি দখল করে গড়ে উঠেছে সেই গুলো চিহ্নিত
করে কালির দাগ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন,অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে দখলদারদের
নোটিশও জারি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ
দেওয়া হয়েছে।