Type to search

কেশবপুরে ঘেরের ভেঁড়ির কারণে গড়ভাঙ্গা-বাটবিলা সড়ক খালে পরিনত। ভেঁড়ি অপসারণের নির্দেশ 

কেশবপুর

কেশবপুরে ঘেরের ভেঁড়ির কারণে গড়ভাঙ্গা-বাটবিলা সড়ক খালে পরিনত। ভেঁড়ি অপসারণের নির্দেশ 

জাহিদ আবেদীন বাবু, কেশবপুর (যশোর) থেকে: যশোরের কেশবপুর উপজেলার গড়ভাঙ্গা-বাটবিলা সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার করা হয়নি। এরপর আবার ঐ সড়কের দু পাশে মৎস্য ঘেরের ভেঁড়ি উঁচু করায় রাস্তা যেন খালে পরিনত হয়েছে। রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল দুরে থাক মানুষ পায়ে হেঁটেও চলাচল করতে পারে না। এলাকাবাসির অভিযোগে ভিত্তিতে গত ১২ জুন শনিবার সকালে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন সরেজমিন পরিদর্শণে যান। এ সময় তিনি অভিযোগের সত্যতা পেয়ে সড়কের দু পাশের মাছের ঘের ব্যবসায়ীদের সড়ক থেকে তিন ফিট দুরে ভেঁড়ি নির্মাণের নির্দেশ দেন। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পাঁজিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুল, ইউপি মেম্বার আব্দুল আহাদ আল বাহার।
প্রায় তিন কিলোমিটার ঐ সড়কের বেহাল অবস্থার জন্য প্রায় ১৫টি গ্রামের মানুষকে ২০ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে কেশবপুর হয়ে সাতক্ষীরা, যশোর যেতে হয়। গড়ভাঙ্গা বাজার হয়ে বাটবিলা পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তাটি দ্রুত পাকা করণ করা হলে প্রায় ১৫ টি গ্রামের মানুষ চরম দূর্ভোগের হাত থেকে রক্ষা পাবে। রাস্তা দিয়ে চলাচলকারি গ্রাম গুলো হলো গড়ভাঙ্গা, বেলকাটি, মাদারডাঙ্গা,বসাগরদত্তকাটি,বাকাবর্শী, ইমাননগনর, ব্যাসডাঙ্গা, মনিরামপুর উপজেলার বাটবিলা, আসাননগর, কুশখালি, ঝিরেডাঙ্গা, হরিনা, কোনাখোলা, দূর্বাডাঙ্গা ও নেহালপুর এলাকার মানুষ ও বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে থাকে। বর্ষা মৌসুমে রাস্তা উপর ৬/৭ ফুট পানি জমে থাকে। নৌকায় করে মানুষ , গরু ও ছাগল পারাপার হয়ে থাকে। গড়ভাঙ্গা গ্রামের সাইফুর রহমান সানা বলেন, দীর্ঘদিন রাস্তার দু পাশে দুইটি মৎস্য ঘের করায় ঘেরের কবলে পড়ে উভয় অ মানুয় চলাচলে চরম দূর্ভোগে পড়েছে। দ্রুত সরকারি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
মনিরামপুর উপজেলার বাটবিলা গ্রামের অলোক মণ্ডল বলেন, আমি পত্রিকা পরিবেশক। প্রতিদিন আমাকে অতিরিক্ত ৪/৫ কিলোমিটার পথ ঘুরে চিনাটোলা বাজার হয়ে কেশবপুরে আসা-যাওয়া করতে হয়। ইটের সোলিং দেওয়া রাস্তাটি সংস্কার না করাসহ মাছের ঘেরের ভেঁড়ি বাঁধের কারনে চলাচল করা একবারে বন্দ হয়ে গেছে।
পাঁজিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুল বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন। কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, সরোজমিন পরিদর্শন করা হয়েছে। রাস্তার দুই পাশে দুই ঘের মালিককে নোটিশ করা হয়েছে।  রাস্তাটি উঁচু করে সংস্কার করতে হবে।