কেশবপুরের মানুষের সেবায় অধ্যাপক আবিদ হোসেন মোল্লা

জাহিদ আবেদীন বাবু, কেশবপুর (যশোর) থেকে : যশোরের কেশবপুরের কৃতি সন্তান প্রখ্যাত শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আবিদ হোসেন মোল্লা দীর্ঘদিন ধরে তার বাবা মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত আমেনা-শাহাদাৎ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে কেশবপুর সহ পাশ্ববর্তী এলাকার শিশুদের মাসে একবার বিনামূল্যে চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। এবার তিনি কেশবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অক্সিজেন উৎপাদনের মেশিন অক্সিজেন কনসেনট্রেটরসহ কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা বিভিন্ন চিকিৎসা সামগ্রি অনুদান দিয়েছেন। এ অক্সিজেন কনসেনট্রেটর মেশিন দিয়ে মিনিটে ৮ থেকে ১০ লিটার অক্সিজেন উৎপাদন করা সম্ভব বলে জানা গেছে।গত ১২জুলাই যশোরের সিভিল সার্জন কেশবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. আলমগীর হোসেনের নিকট এই অনুদান হস্তান্তর করেন।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহিন
বলেন, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর মেশিনটি কেশবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের অক্সিজেনের চাহিদা পুরোণ করবে। তাছাড়া তিনি ডিজিটাল থার্মলা, মাক্স, স্যানিটাইজার, স্কানার পাস, অক্সিমিটার সহ আরও চিকিৎসা সামগ্রি প্রদান করেন। এসব সামগ্রি কোভিড আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য অনেক সাহায্য করবে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগের সাবেক প্রধান বর্তমানে বারডেম জেনারেল হাসপাতালের শিশু রোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আবিদ হোসেন মোল্লার বাড়ি কেশবপুরে।
অধ্যাপক আবিদ হোসেন মোল্লা ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগের প্রধান থাকার সময় মাগুরা এক সন্তান সম্ভবা মায়ের পেটে গুলি লাগে। তখন অধ্যাপক আবিদের নের্তৃত্বে একদল চিকিৎসক সেই মহিলাকে সুস্থ করেন। পরে তার সন্তান জন্ম নেয়। কিন্তু গুলিবিদ্ধ হওয়ার কারণে শিশুটির একচোখ অন্ধ।
অধ্যাপক আবিদ বলেন, তার জন্মস্থান কেশবপুরের মানুষের সাথে তার নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। তার সাধ্যের মধ্যে এই মহামারির সময় দেশের স্বার্থে ও কেশবপুরের স্বার্থে তিনি সম্ভব সব ধরণের সহযোগিতা করবেন বলে তিনি জানান ।