তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন আহমাদ তদন্ত প্রতিবেদনে কী কী আছে, তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
কুয়েটের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য সচিব ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ইসমাঈল সাইফুল্লাহ জানান, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ২৯ ডিসেম্বর ৪৪ ছাত্রকে শোকজ করা হয়েছিল। তাদের ৩ ডিসেম্বর বিকেল ৫টার মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়। রোববার বেশ কয়েকজন ছাত্র লিখিত জবাব দিয়েছে। তিনি জানান, আগামী ৪ জানুয়ারি সকালে ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভা আহ্বান করা হয়েছে। ওই সভায় অভিযুক্ত ৪৪ জনের শোকজের জবাব পর্যালোচনা করে পরবর্তী সুপারিশ করা হবে। এরপর ৫ জানুয়ারি সকাল ১১টায় কুয়েট সিন্ডিকেটের সভায় তা উত্থাপন করা হবে। ছাত্রদের বিষয়ে সিন্ডিকেটের সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
খুলনার খানজাহান আলী থানার ওসি প্রবীর কুমার বিশ্বাস জানান, ড. সেলিমের মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এখনও তারা পাননি। এ ঘটনায় এখনও কেউ মামলা করতে আসেনি। তবে যে জিডিটি হয়েছিল, সেই জিডির তদন্ত তারা অব্যাহত রেখেছেন।
ড. সেলিমের মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন সাংবাদিকদের এড়িয়ে চলছেন। তাকে রোববার বেশ কয়েকবার মোবাইল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
কুয়েটের জনসংযোগ ও তথ্য শাখার মুখপাত্র রবিউল ইসলাম সোহাগ জানান, মামলা করার বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
কুয়েটের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. আনিসুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সিন্ডিকেট সভায় শোকজ করা ছাত্রদের বিষয়ে ছাত্র রাজনীতিসহ তদন্ত কমিটির সুপারিশ করা সার্বিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান বলেন, তাকে শোকজ নোটিশে পাঁচটি বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছিল। তিনি রোববার লিখিতভাবে জবাব ও ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পত্রিকা পড়ে তিনি জানতে পেরেছেন, তদন্ত কমিটি ছাত্র রাজনীতি সাময়িক স্থগিতের সুপারিশ করেছে। তিনি কুয়েটের ছাত্রকল্যাণ কমিটির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। ওইদিন তিনি শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন ছাত্রকল্যাণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে, ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে নয়। এ কারণে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার প্রসঙ্গ অযৌক্তিক।