অপরাজেয় বাংলা ডেক্স: দেশে যখন রোজ করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ২শ’ ছাড়িয়ে যাচ্ছে, ভাইরাসটির তৃতীয় ঢেউয়ের পিকে পৌঁছে যাওয়া নিয়ে যখন শঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে- তখন কেবল ঈদ উৎসবকে সামনে রেখে চলমান লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে। আর নাগরিকের সমালোচনার মুখে একের পর এক দ্বান্দ্বিক সিদ্ধান্তের কথা জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। যেখানে খোদ চিকিৎসকরা শঙ্কা জানিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, করোনা এই ‘যুদ্ধবিরতি’ মানবে তো?
সোমবার (১২ জুলাই) তথ্য অধিদফতরের এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, করোনা মহামারি বিস্তার রোধকল্পে বিভিন্ন বিষয়ে সরকার আরোপিত বিধিনিষেধ আগামী ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত শিথিল করা হবে। প্রধান তথ্য কর্মকর্তার বরাত দিয়ে তথ্য বিবরণীতে আরও জানানো হয়, তবে আগামী ২৩ জুলাই থেকে আবার কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হবে।
লকডাউন রেখে গরুর হাট বসানো, পরামর্শক কমিটির পরামর্শ না শোনাকে করোনাকালের সার্কাস উল্লেখ করে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ লেনিন চৌধুরী বলেন, ‘১৫ জুলাই থেকে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে। ২৩ তারিখ মানে ঈদের দুদিন পরে আবারও কঠোর হবে বিধিনিষেধ। এ ধরণের যুদ্ধবিরতি করোনাভাইরাস কি মেনে চলবে? কোরবানির পশুর হাট শুরু হবে ১৭জুলাই থেকে। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে হাট বসেছে ৭ জুলাই থেকে অর্থাৎ চলমান ‘কঠোর’ লকডাউনের মধ্যে। আইনের নানা লোকজন সব কোথায়?’