Type to search

ঋণ চেয়ে বাংলাদেশের পাঠানো প্রস্তাবে সম্মত আইএমএফ!

জাতীয়

ঋণ চেয়ে বাংলাদেশের পাঠানো প্রস্তাবে সম্মত আইএমএফ!

ঋণ চেয়ে বাংলাদেশ সরকারের পাঠানো প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। আইএমএফকে বাংলাদেশ চিঠি দেওয়ার এক সপ্তাহের মাথায় মঙ্গলবার (০২ আগস্ট) সংস্থাটির ‘রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেনেবল ট্রাস্ট (আরএসটি)’ এই সম্মতির কথা জানায়।

তবে আইএমএফের কাছে বাংলাদেশ কতো ডলার ঋণ চেয়েছে, তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানাননি কোন কর্মকর্তা। তবে ইংরেজি দৈনিক পত্রিকা দি ডেইলি স্টার অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, তিন বছরে ৪৫০ কোটি ডলার চাইছে বাংলাদেশ।

এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, চলমান করোনা মহামারির মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বিশ্ব অর্থনীতিতে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, তা সামাল দিতে এরই মধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ। সরকার ইতিমধ্যে মুদ্রাপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ নিয়েছে, মুদ্রা বিনিময় হার শিথিল করেছে, কম জরুরি পণ্য এবং জ্বালানি আমদানিতে সাময়িক কড়াকড়ি আরোপ করেছে। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি কম জরুরি প্রকল্পে বরাদ্দ স্থগিত করে বেশি জরুরি খাতে ব্যবহারের নির্দেশনা জারি হয়েছে। তারপরও আরও অনেক দেশের মতো বাংলাদেশও সাম্প্রতিক বৈশ্বিক সংকটের কারণে বিভিন্ন অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।

আইএমএফ বলছে, বর্তমানে যে সংকট চলছে তা সাময়িকভাবে মোকাবিলা করতে পারলেও বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের মতো দীর্ঘমেয়াদি সমস্যাগুলো সঠিকভাবে সামাল দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে, যেসব সমস্যা দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি তৈরি করতে পারে।’ বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের ক্ষেত্রে অর্থায়নে সহযোগিতা দিতেই তারা রেসিলিয়ান্স অ্যান্ড সাসটেইনেবলিটি ফান্ড গঠন করেছে এবং বাংলাদেশও এই তহবিল থেকে অর্থ পেতে পারে। আর এই তহবিল থেকে ঋণ পেতে হলে আইএমএফ-সমর্থিত প্রকল্প নিতে হবে।

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ যে ঋণ সহায়তা চেয়েছে তা দিতে আইএমএফ প্রস্তুত। আশা করা হচ্ছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বাংলাদেশের জন্যও আরএসটি ফান্ড সচল হয়ে যাবে। আর এই সময়ে আইএমএফ কর্মীরা প্রকল্প চূড়ান্ত করতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা এগিয়ে নেবে।

আইএমএফ বলছে, ঋণের পরিমাণ কত হবে- সে আলোচনা এখনও হয়নি। প্রকল্প নিয়ে আলোচনার সময় এ বিষয়ে ফয়সালা হবে। বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটছে এবং এর ধাক্কায় বাংলাদেশের মতো দেশগুলো বড় ধরনের অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হচ্ছে।

পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে আরএসটি তহবিলের ঋণ এবং আইএমএফ সমর্থিত প্রকল্প সুরক্ষা দিতে পারবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশের জন্য সহায়ক হবে বলে আশা করছে আন্তর্জাতিক এ ঋণদাতা সংস্থা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *