Type to search

ঈদ ও পরের দিনে বজ্রপাতে প্রাণ গেছে ১১ জনের

জাতীয়

ঈদ ও পরের দিনে বজ্রপাতে প্রাণ গেছে ১১ জনের

ডেক্স রিপোর্ট :ঈদ ও পরের দিনে বজ্রপাতে প্রাণ গেছে অন্তত ১১ জনের। চলতি বছরেই মারা গেছেন অন্তত ৩৫ জন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, বজ্রপাতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন কৃষক ও জেলে।
আর প্রযুক্তি না থাকায় আগে থেকে পূর্বাভাস দিতে পারে না আবহাওয়া অধিদফতর। এক্ষেত্রে কালো মেঘ দেখলেই নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
প্রকৃতির এ ভয়াবহ খেয়ালে দিনকে দিন বেড়েই চলেছে মৃত্যুর সংখ্যা। এমনকি ঈদের দিন দেশে বজ্রপাতে মারা গেছেন অন্তত ৮ জন মানুষ। চলতি বছরে ৩ মে পর্যন্ত বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ৩৫। বুধবার (০৪ মে) সকালেও কক্সবাজার একজন লবণচাষি ও ফরিদপুরে একজন কৃষক মারা গেছেন। ওই কৃষকের সঙ্গে তার গরুটিও মারা গেছে।
২০২১ সালে বজ্রপাতে অন্তত ৩৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিবছর মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তবে বজ্রপাতের পূর্বাভাস দেওয়ার মতো প্রযুক্তি এখনো অপ্রতুল হওয়ায় মানুষকে জানানো সম্ভব হয় না আবহাওয়া অধিদফতরের।
সেভ দ্য সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডারস্টর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. কবিরুল ইসলাম  বলেন, মার্চ-এপ্রিল মাসে যে মেঘের সৃষ্টি হয় সেখানে সব প্রায় মেঘেই বজ্রপাত থাকবে। নরমাল মেঘ হয় না। থান্ডারমেঘের প্রকাশটা (বজ্রপাত) খুব জটিল, এগুলো আসলে আধাঘণ্টা বা একঘণ্টা আগে এর সম্পর্কে বলা যায়। বাংলাদেশে এতে (থান্ডারমেঘে) প্রচুর মানুষ মারা যাচ্ছেন। এটি নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ কাজ করছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই কৃষক ও জেলে। এ ছাড়া বাসার ছাদে ও মাঠে খেলার প্রাণ হারিয়েছে শিশুরাও। আকাশে কালো মেঘের ইঙ্গিত দেখলেই নিরাপদ ছাউনির নিচে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ তাদের।
আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস কর্মকর্তা মো. বজলুর রশীদ বলেন, ইটের তৈরি ঘর যেখানে আছে সেখানে আমরা আশ্রয় নিতে পারি। ঘর যদি নাও থাকে তাহলে হাঁটু নিচু করে বসে পড়তে হবে। তাহলে এটি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। যেটি আমরা সবচেয়ে বড় ভুল করে থাকি সেটি হচ্ছে বড় গাছের নিচে আশ্রয় নিয়ে থাকি, সেটি আসলে ঠিক নয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার থেকে দেশে বৃষ্টির হার কমে তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানায় আবহাওয়া অধিদফতর।