আজ খুলছে জাতীয় জাদুঘর ও চিড়িয়াখানা

অপরাজেয় বাংলা ডেক্স :
করোনার সংক্রমণ রুখতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল দেশের সব পর্যটনকেন্দ্র। প্রায় সাত মাস বন্ধ থাকায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে পর্যটন শিল্পকে। তবে সেপ্টেম্বর থেকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত, সেন্টমার্টিন, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়ায় ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে এই খাত। যদিও এখনও বিদেশি পর্যটক আসা শুরু হয়নি, তবুও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকদের কারণে বর্তমান পরিস্থিতিতেও এগোচ্ছে ব্যবসা। আজ থেকে খুলছে বেশকিছু পর্যটনকেন্দ্র। প্রায় আট মাস পর দরজা খুলছে ঢাকার মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানার। নতুন নিয়মে একই দিনে খুলছে জাতীয় জাদুঘর। জাদুঘরের টিকিট মিলবে অনলাইনে। আজ রোববার থেকেই প্রবেশ করা যাবে গাজীপুর ও কক্সবাজারের চকরিয়ার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে। সুন্দরবন ও চুনারুঘাটের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান এবং লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান পর্যটকরা ঘুরে দেখতে পারবেন আজ থেকেই।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের নির্দেশনায় মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে গত শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এ ক্ষেত্রে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
দর্শনার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে টিকিট কাউন্টারের সামনে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে আঁকা হয়েছে বৃত্তাকার চিহ্ন, টানানো হয়েছে সতর্কতামূলক ব্যানার। চিড়িয়াখানায় এবার শিশুদের জন্য যুক্ত হচ্ছে শিশুপার্ক। ঘুরতে আসা শিশুদের খেলাধুলার জন্য বিভিন্ন ধরনের খেলনা সামগ্রী রাখা হচ্ছে এই পার্কে।
সাত মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর আজ রোববার খুলছে জাতীয় জাদুঘর। দর্শনার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য জাদুঘরে প্রবেশের টিকিট অনলাইন(http://nationalmuseumticket.gov.bd/) থেকে সংগ্রহ করতে হবে। টিকিটের দাম আগের মতোই। তবে ৪ শতাংশ অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৫০০ থেকে ৮০০ দর্শনার্থী প্রবেশের সুযোগ পাবেন। জাদুঘরে প্রবেশের আগে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিস্কার করার ব্যবস্থা থাকবে। সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। সামাজিক দূরত্বের নিয়ম এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। এসব দেখার জন্য প্রতিটি ফ্লোরে আলাদা কমিটি করা হয়েছে বলে জানান জাদুঘরের মহাপরিচালক।
এদিকে সাত মাস বন্ধ থাকার পর আজ রোববার থেকে শর্ত সাপেক্ষে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে সুন্দরবন ও মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া বনাঞ্চল। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটকদের এসব স্থানে ভ্রমণ করতে হবে। বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার জানান, করোনা পরিস্থিতির বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে একটি জাহাজে ৫০ জনের বেশি না যাওয়া এবং শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ ট্যুর অপারেটর ও পর্যটকদের সব স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আজ থেকে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান দশনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান আজ খুলে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সত্যজিত রায় দাশ
সূত্র, দৈনিক শিক্ষা