অভয়নগর উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ঠিকাদারদের মানববন্ধন ॥ প্রকৌশলীর পাল্টা অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার ঃ যশোরের অভয়নগর উপজেলা প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম সরদার ও সার্ভেয়ার গৌতম কৃষ্ণ হালদারের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্ণীতির অভিযোগ এনে ঠিকাদাররা মানব বন্ধন করেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টা থেকে সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত যশোর- খুলনা মহাসড়কের নওয়াপাড়া হাইস্কুল গেটের সামনে শতাধিক ঠিকাদারদের সাথে সাধারন মানুষও মানব বন্ধনে অংশ নেয়।
মানববন্ধন চলাকালে ঠিকাদার আলহাজ্ব ইমদাদুল হক ইমুর সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র ঠিকাদার আব্দুল্লাহেল বাকী, মনিরুজ্জামান মনি, আনোয়ার হোসেন, আসলাম হোসেন, আজিম উদ্দিন, নাজমুল হক প্রমুখ।
ঠিকাদারদের অভিযোগ, ঠিকাদার রেজাউল ইসলাম সোহাগ উপজেলার পায়রা ইউনিয়নে এক কোটি টাকারও বেশী একটি রাস্তার কাজ শেষ করে বিল পেতে এক মাস ধরে অফিসে ঘুরছেন। গত ১৩ জানুয়ারী সন্ধ্যায় ঠিকাদার রেজাউল ইসলাম সোহাগ স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তর অফিসে বিলের কথা জানতে গেলে সার্ভেয়ার তাকে বলে স্যারকে ( উপজেলা প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম সরদার) ২% ঘুষ না দিলে বিল ছাড়া যাবে না। ঠিকাদার চাহিদামত ঘুষের টাকা দিতে অস্বীকার করলে সার্ভেয়ার গৌতম তার উপর তেড়ে আসে। একপর্যায়ে ওই ঠিকাদারকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। এরপর চেয়ার তুলে মারতে উদ্যেত হয়।
ঠিকাদাররা আরো অভিযোগ করেন, অভয়নগর উপজেলায় অসংখ্য প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সড়কের নির্মান কাজ চলমান রয়েছে। কাজ শেষ হলেও উপজেলা প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম সরদার বিল প্রদানে শতকরা ২ ভাগ ঘুষ দাবী করে। যে সকল ঠিকাদার তার চাহিদামত ঘুষের টাকা দেয় তাদের বিল প্রদান করেন। মেসার্স ফাহিম এন্টার প্রাইজ নামে ঠিকাদার মো: আহম্মদ আলী সরদার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাজ গত ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে কাজ শেষ করেও ২০২০ জুন মাসে বিল পাইনি।
ওই ঠিকাদার মো: ফারুক হাসান অভিযোগ করে বলেন উপজেলা প্রকৌশলীকে তার চাহিদামত টাকা দিতে অস্বীকার করায় আমার কাজ শেষ হলেও বিল দেয়নি। ঘুষের টাকা না দেয়ায় ওই বছরে বিল পরিশোধ না করে বরাদ্দের টাকা ফেরৎ দেয়।
মানব বন্ধন ও সমাবেশে ঠিকাদাররা উপজেলা প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম সরদার ও সার্ভেয়ার গৌতম কৃষ্ণ হালদারকে আগামী ৩০ জানুয়ারীর মধ্যে প্রত্যাহারসহ তাদের সম্পদের হিসাব তদন্ত করার আহবান জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের সার্ভেয়ার গৌতম কৃষ্ণ হালদার বলেন, ‘গত বুধবার একজন ঠিকাদার নিন্মমানের পীচ দিয়ে রাস্তার কাজ করছিল্,ো আমি কাজে বাঁধা দিলে ঠিকাদার ক্ষিপ্ত হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় আমি অফিসে কাজ করছিলাম তখন ওই ঠিকাদার আমার অফিসে একটি পাথর হাতে নিয়ে এসে আমাকে ভয় দেখাচ্ছিলো। আমি তাকে বের করে গেট লাগিয়ে ভিতরে বসে কাজ করছিলাম। তখন কিছু ছেলে ডেকে এনে ওই ঠিকাদার আমার উপর হামলা করতে আসে। আমি থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। তাছাড়া ঠিকাদাররা নিন্মমানের কাজ করে। এতে বাধা দিলে আমাদের বিরুন্ধে নানা ধরনের অভিযোগ করে’।