Type to search

অভয়নগরে চাপ প্রয়োগ করে স্বামীর কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

অভয়নগর

অভয়নগরে চাপ প্রয়োগ করে স্বামীর কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

এইচ,এম,জুয়েল রানা ঃ অভয়নগর উপজেলায় এক নারী তার স্বামীর কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার রানাগাতী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ওই স্বামীর নাম আব্দুস সেলিম ফারাজী (৫৫)। অভিযুক্ত স্ত্রীর নাম কাজী নাছরিন হক (৫০)। আব্দুস সেলিম ফারাজী অভয়নগর উপজেলার রানাগাতী গ্রামের মৃত হাকিম ফারাজীর ছেলে। অভিযুক্ত নাছরিন হক একই গ্রামের কাজী আলাউল হকের মেয়ে। প্রায় বিশ বছর আগে সেলিম ফারাজীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।
সেলিম ফারাজী পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে জানান, আমরা নিঃসন্তান,সন্তান না থাকার করনে আমার স্ত্রী নাছরিন সহ তাহার পিতার পরিবারের লোকজন দীর্ঘদিন ধরিয়া আমাকে মানসিক ভাবে চাপ সৃষ্টি করত,আমার স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি আমার স্ত্রী নাছরিনের নামে লিখিয়া দেওয়ার দাবী করিয়া আসিতেছে । সম্পত্তি না লিখিয়া দিলে চল্লিশ লক্ষ টাকা দিতে হবে বলিয়া নাছরিন সহ তার পরিবরের লোকজন আমাকে শর্ত দেয়। আমি শাররীক ভাবে অসুস্থ্য নাছরিন সহ তার পরিবারের লোকজন আমাকে নানা ভাবে নির্যাতন করত। আমি এটা সহ্য করিতে না পেরে আমার জমি বিক্রয় করে । নগদ বিশ লক্ষ টাকা আমার শালিকা চাপার হাতে দেই। এরপর আমার স্ত্রী নাছরিন ইউনিয়ন পরিষদে ভোটার আইডি কার্ড আনিবার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাই। তার পর নাছরিন ঐদিন বাড়িতে না ফিরলে আমি বিভিন্ন জায়গায় খোজাখোজির এক পর্যায়ে জানতে পারি সে আমার শালিকা চাপার বাড়িতে আছে। আমি নাছরিনের সাথে কথা বললে সে জানায়,বাকী বিশ লক্ষ টাকা দিলে সে বাড়ীতে ফিরবে আমি ভাবী রাগ কমলে সে নিজেই বাড়িতে ফিরে আসবে । তার একদিন পর নাছরিন ও তার বোন চাপা স্বামী দিহীদার কবির পরিকল্পনা অনুযায়ী আমার বাড়িতে প্রবেশ করে আমাকে কিল ঘুষি চড় থাপ্পর মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলফোলা জখম করে সংসারে ব্যবহৃত জিনিষপত্র ভাংচুর করে প্রায় সাত হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে আমার ঘরের ওয়ার ড্রয়ারে থাকা চার ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে নেয়। যার মূল্য অনুমান দুই লাক্ষ ষাট হাজার টাকা আমি সহ আমাদের পরিবারে থাকা অন্যান্য লোকজনের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে খুন জখম সহ মামলায় ফাসায়ে দিবে বলে নাছরিন ও তার বোন জামাই চলিয়া যায়।এমতবস্থায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ভুক্তভোগী আব্দুস সেলিম ফারাজী অতিদ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্থানীয় সিদ্দিপাশা ক্যাম্প ইনচার্য নজরুল ইসলাম জানান, ওই পরিবাওে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ হওয়ায় ক্যামে একটি অভিযোগ করেছিলো। আমি উভয় পক্ষকে ডেকে মিমাংসা করে স্ত্রীকে স্বামীর ঘরে তুলে দিয়েছিলাম। আমার জানামতে স্ত্রী এখন স্বামীর ঘরে অবস্থান করছে।