Type to search

অভয়নগরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার ইজাজুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

অভয়নগর

অভয়নগরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার ইজাজুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার : অভয়নগর উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়নের ১,২ ও ৫নং ওয়ার্ডের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির(১০ টাকার চাল) ডিলার মো: ইজাজুল মোল্যার বিরুদ্ধে হতদরিদ্রদের চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। তিনি তালিকাভ’ক্ত হতদরিদ্রদের কার্ড নিজের জিম্মায় রেখে মোটা অঙ্কের টাকায় সচ্ছল লোকদের কাছে হস্তান্তর করছেন। কখনো তিনি অন্যদের দিয়ে ওই কার্ডে চাল তুলে বাজারে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, ইজাজুল মোল্যা ওই ইউনিয়নের ৪৯৭ জন হতদরিদ্রদের চাল সরবরাহ করেন। ইউনিয়নের খড়বটতলায় একটি দোকান ভাড়া নিয়ে তার ডিলার কার্যক্রম পরিচালনা করেন। সরজমিনে দেখা যায়, তিনি যেখানে বসে চাল বিতরণ করেন সেখানে কোন সাইন বোর্ড নাই। নিয়ম অনুযায়ী সেখানে লাল সালু কাপড়ে লেখা থাকবে চাল বিতরণের দিন ও সময়। এ ব্যপারে জানতে চাইলে তিনি কোন সদ উত্তর দিতে পারেননি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি তালিকা ভ’ক্ত এলাকার কয়েকজন জানান, ডিলার ইজাজুল বিভিন্ন রকম ছল চাতুরি করে তাদের কার্ড নিজের জিম্মায় নিয়েছে। ইজাজুল ওই কার্ড গুলো মোটা টাকার বিনিময়ে এলাকার সচ্ছলদের কাছে বিক্রি করেন। এ ছাড়া চেয়ারম্যানের পছন্দের লোক দিয়ে ওই চাল উত্তোলন করানো হয়। এমন একজন লোক চাল উত্তোলন করতে এসেছিল গত সোমবার বিকাল তিনটায়। তার নাম রিপন দাস তিনি জানান, উপজেলা অফিসে আমার নামে কোন কার্ড ইস্যু হয়নি। চেয়ারম্যান ইজাজুলকে ফোন দিয়ে আমাকে এক বস্তা চাল দিতে বলেছেন। সেই মোতাবেক ইজাজুল আমাকে তিনশত টাকার বিনিময়ে ত্রিশ কেজির এক বস্তা চাল দিয়েছেন। এ ভাবে আমি ডিলারের মাধ্যমে ৬/৭ কিস্তি চাল উত্তোলন করে নিজে ভোগ করেছি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডিলার ইজাজুল বলেন, আমি কারো কার্ড নিজের জিম্মায় নেয়নি। ভিজিডি তালিকায় নাম আছে আবার খাদ্য বন্ধব তালিকায় নাম আছে এমন ১১ জন দ্বৈত লোকের তালিকার কার্ড আমার কাছে জমা আছে। উপজেলা থেকে আমাকে ওই ১১ জনের চাল দেওয়া বন্ধ রাখতে বলেছে। আমি তা করেছি।
সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জানান, আমি কাউকে বিনা কার্ডে চাল দেওয়ার জন্য ফোন করেনি। তিনি সাংবাদিকে আক্রমন করে বলেন, আপনি এসব ছোট খাটো বিষয় নিয়ে এ ব্যপারে জানতে চাইলে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মীনা খানম বলেন, ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ও ভিজিডি তালিকায় নাম আছে এমন ১১ জনের কার্ডে চাল দেওয়া বন্ধ রাখতে বলেছি। এছাড়া অন্য কোন অনিয়ম করলে ডিলার ইজজুলকে ছাড় দেওয়া হবে না। আর কার্ড নেই অথচ রিপন দাসকে চাল দেওয়া হয়েছে এটা সঠিক নয়। রিপন দাস তার মায়ের নামের কার্ডের চাল তুলে নিয়েছে। ডিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।
পরে তালিকায় দেখা যায় রিপন দাসের পরিবারে কারো নামে খাদ্যবান্ধ কর্মসূচির তালিকায় অর্ন্তভ’ক্ত হয় নি। অথচ উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মিথ্যা বলে সত্য ঢাকার চেষ্টা করছেন ।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন,‘ ডিলার ইজাজুল মোল্যার বিরুদ্ধে কেউ কোন অভিযোগ আমার কাছে করেনি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে আমি আইনানুগ ব্যবস্থ্যা গ্রহণ করবো’।