Type to search

অভয়নগরে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা “আউট অব চিলড্রেন এডুকেশন” কর্মসূচিতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

অন্যান্য

অভয়নগরে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা “আউট অব চিলড্রেন এডুকেশন” কর্মসূচিতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

অভয়নগর প্রতিনিধি
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম ঝরে পড়া শিশুদের শিক্ষার আওতায় আনার জন্য সরকারের গৃহীত কর্মসূচি ‘আউট অব চিলড্রেন এডুকেশন’ কার্যক্রমে ব্যাপক অনিয়ের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে উপজেলায় ২ হাজার ৩২ জন ঝরে পড়া শিশুদের এ প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। এর জন্য ৭০টি কেন্দ্র খোলা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৫ জন পুরুষ শিক্ষক রয়েছে বাকি সব মহিলা। প্রাথমিক স্কুল থেকে ঝরে পড়া ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের শিক্ষার আওতায় আনার জন্য সরকার যশোর জেলার জন্য ২০২০ সালে স্থানীয় এন.জি.ও দিশা সমাজ কল্যান সংস্থার সাথে চুক্তি করে যা ৩০ জুন ২০২৩ সালে শেষ হওয়ার কথা। ঝরে পড়া ওই সব শিক্ষার্থীদের প্রদান করার হবে বিনা মূল্যে বই, খাতা, কলম, পোশাক, স্কুল ব্যাগ মাসিক ১২০ টাকা করে উপবৃত্তিসহ নানা সুযোগ সুবিধা। যার সব কিছুই সরকার প্রদান করবে। শিশুরা সাড়ে তিন বছরে ৫ম শ্রেণি পাশ করে প্রাথমিকের গন্ডি পাশ করে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হবে। এলাকার সুবিধামতো স্থানে ঘর ভাড়া নিয়ে কার্যক্রম চালাতে হবে। শিক্ষদের সম্মানী দেওয়া হবে ৫ হাজার টাকা।এ বছর জানুয়ারী থেকে কার্যক্রম শুরু হয়েছে কিন্তু প্রকল্পের অর্থ ছাড় না হওয়ায় কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে উপজেলার দিঘীরপাড় রাঙ্গারহাট সর্দার কেন্দ্র তালিকায় আছে কিন্তু সেখানে পাঠদান হয় না। এ কেন্দ্রের শিক্ষিকা রেখা পারভীন জানান নিয়োগের সময় আমাদের বেতন ও শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপকরণ, বৃত্তি, স্কুল ড্রেস, ব্যাগ, ঘর ভাড়া দেওয়ার কথা ছিল তার কোনটি আজও দেয়নি। স্কুলের জন্য ফ্যান না দেওয়ায় বাচ্চারা এই গরমে বসতে চায় না। তা ছাড়া বেতন না দেওয়ায় পাঠদানের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। মধ্যপুর মোহাম্মাদীয়া শামসুল উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্র, নওয়াপাড়া বুইকরা সরকারি কবরস্থানের মোড় সংলগ্ন কেন্দ্র,ভাটপাড়া ঋষিপাড়া কেন্দ্রে কিছু শিক্ষার্থী আছে। কিন্তু শিক্ষক নিয়মিত আসেন না।
এ বিষয়ে যশোর দিশা সমাজ কল্যান সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রহিমা সুলতানার কাছে সংস্থার অভয়নগরের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, সরকারের কাছ থেকে এখনও অর্থ ছাড় করতে না পারায় সংস্থায় কর্মরত সুপারভাইজার, শিক্ষক, শিক্ষিকাদের বেতন, ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা উপকরণসহ বৃত্তির টাকা দিতে না পারায় কার্যক্রম একটু ঝিমিয়ে পড়েছে। আমরা আশা করছি সেপ্টেম্বর মাসের ভেতরেই সকল সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে।
অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, এটি উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর একটি প্রকল্প যা দিশা সমাজকল্যান সংস্থা বাস্তবায়ন করছে। আমি শিক্ষক নির্বাচন প্যানেল এবং শিক্ষকদের প্রশিক্ষনের বিষয়ে সহযোগিতা করেছি। দিশা এনজিও তাদের শিক্ষা কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করছে কিনা সে বিষয়ে আমি অবগত নই। সংস্থার বিরুদ্ধে অনিয়ম পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।