Type to search

অভাবের সংসার, চার প্রতিবন্ধী সন্তান নিয়ে বিপাকে বাবা-মা

জাতীয়

অভাবের সংসার, চার প্রতিবন্ধী সন্তান নিয়ে বিপাকে বাবা-মা

অনলািইন ডেক্স:
অভাবের সংসার, চার প্রতিবন্ধী সন্তান নিয়ে বিপাকে বাবা-মা
চার প্রতিবন্ধী সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় জব্বার আলী নামে এক দিন-মজুর। মাঠে কাজ করে পরিবারে দুই বেলা দু-মুঠো ভাতের ব্যবস্থা করাই দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে জব্বার আলীর।

জানা যায়, ওই উপজেলার ৬নং ভানোর ইউনিয়ন পরিষদের বিশ্রামপুর গ্রামের জব্বার আলী ২৮ বছর আগে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের ঘরে এক-এক করে দু’টি ছেলে ও দু’টি মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। তার বড় সন্তান লথিফা আক্তার (২৪), মেজো আব্দুল সামাদ (১৮) এবং ছোট দুজন যমজ জেসমিন (১৪) ও জসিম (১৪)। একই পরিবারের চার শারীরিক প্রতিবন্ধী সন্তান জন্ম নেয়ায় সমাজে অবহেলিত তারা।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অসচেতনতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে সরকার থেকে কোনো সুযোগ-সুবিধা পায়নি তারা। অবশেষে কয়েক মাস আগ থেকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা সমাজসেবা অফিসার ফিরোজ সরকারের সার্বিক সহযোগিতায় প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করে দেন। তবে যা ভাতা পান তা দিয়ে দু’বেলা খাবার তো দূরের কথা ঠিক মতো চিকিৎসাও হয় না বলে দাবি করেছেন বাবা।
জব্বার আলী বলেন, আমাদের চারটি সন্তান জন্মগত প্রতিবন্ধী। পাঁচ বছর আগে ভাইয়ের এক ছেলেকে পোশ্য হিসেবে নেই। এভাবেই চলছে আমাদের সংসার। আমরা শুধু চিন্তা করছি, আমরা তো বৃদ্ধ হতে চলেছি। আমরা মারা গেলে আমাদের চার সন্তানের কী হবে? চারজনই প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছে কিন্তু সেই অর্থ দিয়ে তাদের চিকিৎসাই হচ্ছে না। চারটি সন্তান নিয়ে খুব অসহায় অবস্থায় আছি। আমি সরকারের কাছে আমার চার সন্তানের জন্য বিশেষ কোনো সুবিধা দেওয়ার অনুরোধ করছি।

প্রতিবেশী মামুন বলেন, জন্মের পর থেকেই তারা এমন। একেবারেই অক্ষম, কিছুই করতে পারেন না। খুব কষ্টে তাদের দিন যায়। জব্বার আলী অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালায়। শত কষ্ট করেও খেয়ে, না খেয়ে দিন যাপন করছে তারা। সরকার এই পরিবারটির পাশে দাঁড়ালে তাদের জন্য খুবই ভালো হয়।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জানান, জব্বার আলীর চারটি সন্তানই প্রতিবন্ধী। চার সন্তানই প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছে। কিন্তু তাদের পরিবারের জন্য সেই টাকা অতি সামান্য। সরকারিভাবে আরও কিছু সুবিধা পেলে জব্বারের পরিবারটা হয়তো একটু বাঁচতে পারবে।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা সমাজসেবা অফিসার ফিরোজ সরকার বলেন, আমরা তাদেরকে প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদান করছি এবং যদি অসুস্থ হয় তাহলে চিকিৎসা বাবদ সরকারিভাবে সহায়তা প্রদান করা হবে।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *