চিৎকার, আর্তনাদ, বাঁচার আকুতি-মিনতি। বোঝার উপায় নেই একটি অনলাইন গেইমে বুদ হয়ে এমনটা করতে থাকে আইডিয়াল স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ইউশা। পাবজি-ফ্রিফায়ার এই দু’টি অনলাইন গেইমে আসক্ত সে।করোনায় স্কুল বন্ধ তাই হাতে তুলে নিয়েছে স্মার্টফোন, মেতেছে এইসব গেইমে, একদমে বলে দিতে পারে স্বয়ংক্রিয় আধুনিক সব অস্ত্রের নাম যা খেলায় ব্যবহার করে থাকে। ইউশা বলেন, ‘লকডাউনের মধ্য একটু বেশি খেলা হয়। বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হয় এখানে।’
পাড়া, মহল্লার একটি সাধারণ দৃশ্য তরুণরা বসে অনলাইনে গেম খেলছে। অনেকেই এই অনলাইন গেইমে আসক্ত আবার কেউ খেলেন শুধু সময় কাটানোর জন্য। অনলাইন গেইমে আসক্ত এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘পাবজির আগে দুই তিনিটা গেম খেলেছি কিন্তু পাবজিটাই বেশি খেলেছি। আমি এডিকটেড এটা আমি জানি। মাঝেমাঝে চেষ্টাও করি এই আসক্তিটা কমাতে।’
এমন পরস্থিতিতে চিন্তিত অভিবাবকেরা। এক অভিভাবক বলেন, ‘ওরা খেলবে ক্রিকেট-ফুটবল। কিন্তু এখাবে সারক্ষণ মোবাইল নিয়ে থাকবে। আমার ছেলেটা এখন পাবজিতে ক্যারিয়ার গড়তে চায়, এটা থেকে খারাপ লাগার আর কী হতে পারে!’
মনোবিজ্ঞানীদের পরামর্শ পরিবার ও সরকারের উচিত এই বিষয়টাকে গুরুত্বসহকারে দেখা। মনোবিজ্ঞানী মেহজাবিন হক বলেন, ‘এই বয়সী বাচ্চাদের চাহিদাগুলো বুঝতে হবে। ওদের মনের কথাগুলো শুনতে হবে। এরা অনেক বড় বড় অপরাধ করলেও তাদের মধ্যে অনুশোচনাবোধ কাজ করছেনা। এগুলো এই ধরনের অনলাইন গেমেরই ফলাফ।’
এদিকে পাবজি ও ফ্রিফায়ার এই দুই অনলাইন গেইম বন্ধের জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে সুপারিশ করেছে শিক্ষা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।সূত্র,ডিবিসি নিউজ