সৌদি আরব প্রবাসী ডাবলুর লাশ দেশের আনতে দালাল জিয়া কাজীর ২ লাখ টাকা দাবি
বগুড়া প্রতিনিধি: যতই দিন অতিবাহিত হচ্ছে পিতা-মাতার কান্নারোল ততোটাই ভারি হচ্ছে। বগুড়া-গাবতলী উপজেলার কাগইল ইউনিয়নের আহম্মেদপুর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা মোঃ আবুল মোল্লার (৫৫) দ্বিতীয় পুত্র মোঃ ডাবলু মোল্লা (২৫) গত ১৩ আগষ্ট সৌদি আরবের জিজান শহরে তার নিজ কক্ষে আনুমানিক রাত ১১:৩০ দিকে মাথায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেে ফলে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরিবার সূত্রে, জানা যায় মূরহুম মোঃ ডাবলু মোল্লা সৌদির আরবের একটি কম্পানির আকামা ধারি আমেল ছিল। বেশ কয়েক মাস যাবৎ সৌদি আরবে পাড়ি জমায় দালালের মাধ্যমে। ভালই চলছিলো তার প্রতিদিনের কার্যক্রম হঠাৎ গত ১৩ আগষ্ট দিবাগত রাতে তার ব্রেণ স্টোকের মাধ্যমে তার জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে। বেশ কিছু দিন অতিবাহিত হলেও, এখনো তার মৃত্যুদেহ বাংলাদেশ এসে পৌছায়নি তার মৃত্যুদেহ জিজান শহরে অবস্থান করছে। মূরহুম মোঃ ডাবলু মোল্লার মৃত্যুদেহ সৌদি আরবের জিজান শহর থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসার জন্য মুঠোফোনের মাধ্যমে কান্নারত অবস্থায় তার পিতা-মাতা একই গ্রামের মোঃ জিয়া কাজী সৌদি প্রবাশি (৩৫) দালালের কাছে আকুতি-মিনতি করে বলে আমার ছেলের মৃত্যুদেহ নিজ দেশে কবরস্থ করে শেষ জীবন কাটিয়ে দিতে চাই। আমার ছেলেকে সৌদি জিজান শহর থেকে বাংলাদেশে আনার ব্যবস্থা করে দেন, প্রথমে মোঃ জিয়া কাজী ও তার শ্যলক মোঃ সাইদুল সৌদি আরবের জিজান শহর থেকে মূরহুম মোঃ ডাবলু মোল্লার মৃত্যুদেহ আনার আসস্তর কথা বললেও, এখন কোন সুরাহা না করে তারা উল্টো মূরহুম মোঃ ডাবলুর মোল্লার মৃত্যুদেহ জিম্মি করে তার পিতা-মাতার কাছে থেকে মৃত্যুদেহ বাংলাদেশে পৌছানো বাবদ ২লক্ষ টাকা দাবি করে। মূরহুম মোঃ ডাবলুর মোল্লার পিতা-মাতা ২লক্ষ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় মূরহুম মোঃ ডাবলুর মৃত্যুদেহ নিয়ে টালবাহানা করে এবং বলে টাকা না দিলে মূরহুম মোঃ ডাবলু মোল্লার মৃত্যুদেহ সৌদি মালিক তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে না। এতে করে ভুক্তভোগীরা মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে এবং পরে প্রশাসন ও উপর মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করে, যাতে তাদের ছেলের মৃত্যুদেহ বাংলাদেশে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে এবং দালালদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানায়।