Type to search

মণিরামপুরে আমন চাষিরা মহা সংকটে !

যশোর

মণিরামপুরে আমন চাষিরা মহা সংকটে !

 

 

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি :

মণিরামপুরে প্রত্যন্ত অঞ্চলের চাষিরা বৃষ্টির অভাবে আমন ধান রোপন এবং ফসল উৎপাদন নিয়ে চরম হিমশিম খেতে হচ্ছে। বৃষ্টি মৌসুমের আবাদকৃত এ ফসলটি উৎপাদনের জন্য চাষিরা বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে গভীর নলকূপের পানি সেচ দিয়ে রোপনের কার্যক্রম শুরু করেছে। ফলে আমন ফসলের আশানুরুপ উৎপাদন নিয়েও চাষিরা চরম শঙ্কায় রয়েছে। অপর দিকে কৃষি অফিসের লক্ষ্যমাত্রা কমে যাওয়ার সম্ভবনাও রয়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার আ¤্রঝুটা গ্রামের চাষি মিজানুর রহমান, সামাদ বিশ্বাস, তফিদুল ইসলাম, কাজিয়াড়া গ্রামের মোমিন হোসেন, খাটুয়াডাংগা গ্রামের শহিদুল ইসলাম ও আবু তাহের সহ অনেকেই জানায়, আমন ধান সাধারণত জমিতে পানি থাকা অবস্থায় ধানের চারা রোপন করতে হয়। কিন্তু বৃষ্টি মৌসুমের এ ফসলটি লাগাতে গিয়ে আমাদের অনেক বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে। ফলে কোন উপায়ন্ত না পেয়ে অবশেষে গভীর নলকূপের পানি সেচ দিয়ে জমি চাষ করে চারা রোপন করতে হচ্ছে।

নেহালপুর গ্রামের হাফিজুর রহমান অনেক ক্ষোভের সাথে জানান, চলতি মৌসুমে ৬ বিঘা জমিতে আমন ধান রোপণ করার ইচ্ছে থাকলেও পানির অভাবে মাত্র দুই বিঘা জমিতে ধান রোপণ করেছেন। ছিটেছাটা একটু বৃষ্টি হওয়ায় আঙ্গুল টিপে টিপে ধানের চারা লাগানো হয়েছে। কিন্তু চারা লাগানোর পর বৃষ্টি না হওয়ার কারনে জমিতে পানি না থাকায় চারাগুলো হলদে রং ধারন করেছে। জানিনা  কপালে কি আছে, শেষ পর্যন্ত ফসল ঘরে উঠবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।

কৃষিবিদদের মতে, আমন মৌসুম মূলত: বৃষ্টির পানির উপর নির্ভর করে চাষ প্রক্রিয়া চলে। জুলাই মাসের প্রথম থেকে শুরু করে চাষাবাদ চলে অক্টোবর মাস পর্যন্ত। তবে শুরুতে চাষাবাদ না হলে কাঙ্খিত ফলন হয় না। তাছাড়া প্রাচীনকালের ঊফশী ধান চাষ করতে শ্রাবণ মাসের মধ্যেই সম্পন্ন করতে হয়। তাছাড়া ফলন ভাল হয় না।

মণিরামপুর উজেলা কৃষি অফিসার হীরক কুমার সরকার জানান, চলতি আমন মৌসুমে এ উপজেলায় রোপা আমন ধান রোপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৩ হাজার ৩’শ হেক্টর জমিতে। বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় চাষাবাদে একটু ব্যাঘাত হচ্ছে। তবে চাষিদের  হতাশ হবার কোনো কারণ নেই, এখানো সময় রয়েছে। আশা করছি সঠিক সময়ের মধ্যে চাষিরা তাদের প্রয়োজনীয় জমির চাষাবাদ করতে পারবেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সুশান্ত কুমার তরফদার বলেন, বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় ফলন নিয়ে চাষিরা শংকিত রয়েছেন সঠিক। তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি ধান আবাদ করেছেন চাষিরা। চাষিদের গভীর নলকূপের সেচ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।