Type to search

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপার মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

স্বাস্থ্যবিধি

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপার মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

ডেক্স রিপোটঃ

গতকাল ছিল বিশ্ব নদী দিবস। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা ২৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বর দুদিন ব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করে। বাপার যশোর শাখা আজ ২৫ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪ টায় দড়াটানা সেতুর উপর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বাপার জেলা কমিটির আহবায় খন্দকার আজিজুল হক মনির সভাপতিত্বে এক মানব বন্ধনের আয়োজন করে। মনব বন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখে ভৈরব নদ সংস্কার আন্দোলন এর সংগঠক ও বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা নেতা কমরেড জিল্লুর রহমান ভিটু ।
ভিটু বলেন, গতকাল বিশ্ব নদী দিবস ছিল। ঢাকায় এক আলোচনায় জাতীয় নদী কমিশনের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ বলেছেন, ” ঢাকার চারটি নদী আই সি ইউ তে। চাঁদপুরে মেঘনা থেকে অবৈধ ভাবে বালু তুলে লুটপাট করছে এক চেয়ারম্যান। তার খুঁটির জোর চাঁদপুরের একজন নারী মন্ত্রী। উর্ধতনদের বলে কোন বিচার পাই নাই। উপরন্ত যে সমস্ত কর্মকর্তারা সঠিক দায়িত্ব পালন করেছে, প্রতিবেদন তৈরী করেছে, তাদের শাস্তিমূলক বদলি করা হয়ে। ” ভৈরব নদের অবৈধ দখলদার উচ্ছেদর উদ্যোগ নেওয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়। শোনা জায় আমাদের যশোরের মন্ত্রীর এক্ষেত্রে ভূমিকা ছিল। এই তো আমাদের নদীমাতৃক দেশের দশা। একনেকের সভায় নৌচলাচলের অনুপযোগী সেতু কালিয়াতে করায় প্রধানমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। আর ঝিকগাছা বাজারে নৌচলাচলের অযোগ্য ইতিমধ্যেই করা হয়েছে, তার কি হবে এখনো পরিষ্কার না। ঐ সেতু নিয়ে যশোরের মানুষ গর্জে উঠলেও যশোরের ৭ টি নদীতে ১৩ টি সেতু BIWTAর অনুমোদন ব্যতিরেকে ও নৌ চলাচলের অনুপযোগী সেতু করেছে করতে যাচ্ছে।
৯ সেপ্টেম্বর বাঅনৌপক খুলনা অঞ্চলের এক প্রতিনিধি দল ভৈরবের উপর পুনঃনির্মানাধিন ৩ টি সেতু পরিদর্শনে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁরা এলজিইডি কে চিঠি দেন, আগেও দিয়েছেন বলে দাবি করেন। এলজিইডি বাঅনৌপকের কথা থোরায় শোনে।
তিনি আরো বলেন, আমরা যেখানে বিক্ষোভ করছি বা যার উপর দাড়িয়ে আছি, সে দিকে তাকাক দাড়াটানা সেতু নদী দুপাড় থেকে বেঁধে কয়ফুটে করা হয়েছে। অধিকাংশ সেতু এরূপ হয়েছে। নদীর প্রবাহ বন্ধ বা নদী মরার জন্য এই জাতীয় সেতু দায়ি। এই সেতুকে ভোটের সেতু বলে। সেতুর পশ্চিমে তাকান, কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে দৃষ্টি নন্দন পার্ক বানানো হচ্ছে। নদীর পানি দেখেন কালো, দুর্গন্ধ ময়। এখানে হাসপাতাল সমুহের বর্জ্য ফেলা হয়। নদের দুপাড়ের বাড়িগুলোর নর্দমাগুলো নদে নামিয়ে দিয়েছে। টাকা দিয়েও আপনাকে ঐ পার্কে ১৫/২০ মিনিট বসানো যাবে না। এটা দৃষ্টি নন্দন নয় দৃষ্টি ঘোরানো, যাতে নদী তট আইনে দুপাড়ে গড়ে ওঠা স্থাপনা সমুহ দৃষ্টিতে না আসে। চলুন আমরা একটু নিচে যাই দেখতে পাব জোয়ার ভাটা আসছে ভৈরবে। এই জোয়ার ভাটা যশোর শহরেও আনতে চাইলে আসুন নদীর সম্পদ উদ্ধারের আন্দোলন, নদী বাঁচানোর আন্দোলন, নৌ চলাচলের অন্তরায় সেতু নির্মান বন্ধের আন্দোলনে রাজপথে নামি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *