বাকি ৭ জেলার দুটিতে আইসিইউ স্থাপনের কাজ ঝুলে আছে দীর্ঘদিন ধরে। তবে এ বিভাগে ৮ জেলাতেই আছে সেন্ট্রাল অক্সিজেনের ব্যবস্থা আর ৫টিতে আছে করোনা পরীক্ষার আরটিপিসিআর ল্যাব। সরকারি হাসপাতালগুলোর করোনা চিকিৎসার সক্ষমতা নিয়ে বিকাশ বিশ্বাসের ৯ পর্বের ধারাবাহিকের চতুর্থপর্ব আজ।
খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় জনসংখ্যা ১ কোটি ষাট লাখের মত। এ পর্যন্ত বিভাগটিতে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে আটাশ হাজার ৩৪০ জনের। মারা গেছেন ৬১৭ জন।
খুলনা বিভাগে সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে। হাসপাতালটিতে কোভিড রোগীদের জন্য সাধারণ শয্যা আছে ৯০ টি আর আইসিইউ ১০ টি। ছোটখাটো একটি সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টের পাশাপাশি আছে ১৮ টি হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা। তবে অক্সিজেনের ঘাটতি আছে এখানে। পরীক্ষা হয় আরটিপিসিআর ল্যাবে।
খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা আছে ৮টি আইসিইউ, ৩৮ টি হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা ও ৮টি ভেন্টিলেটর। তুলনামুলকভাবে এ জেলার অবস্থা একটু ভালো। সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. শাফাত হোসেন বলেন,’২৪লাখ মানুষের বাস সাতক্ষীরাতে। হাইরেট সংক্রমণ যদি হতে থাকে তবে এটা কিন্তু কাভার করতে পারবে না।’
সংক্রমনের দিক দিয়ে খুলনা বিভাগে উপরের দিকে আছে যশোর। অথচ এ জেলায় কোভিড রোগীদের জন্য সাধারণ শয্যা মাত্র ৪৮ টি। নেই সেন্ট্রাল অক্সিজেনের ব্যবস্থাও। আর অদৃশ্য কারণে বছরখানেক ধরে ঝুলে আছে আইসিইউ স্থাপনের কাজ। এ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
যশোরের মত একই অবস্থা কুষ্টিয়াতেও। এখানেও বছরখানেক ধরে চলছে আইসিইউ স্থাপনের কাজ। কবে শেষ হবে তা এখনও অনিশ্চিত। এ জেলায় কোভিড শয্যা মাত্র ৩১ টি।
বাকি ছয় জেলার মধ্যে শুধু মেহেরপুরে আছে দুটি আইসিইউ। তবে অন্যান্য বিভাগের জেলা হাসপাতালের তুলনা খুলনা বিভাগের বেশিরভাগ জেলায় সেন্ট্রাল অক্সিজেনের ব্যবস্থা থাকায় আইসিইউসহ অন্যান্য সুবিধা স্থাপন করা সহজ। তবে কবে নাগাদ তা স্থাপন করা হবে তা বলতে পারছেন না কেউই। এ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে সাধারণ মানুষের।
এক বছরের বেশি সময় পেলেও বিভাগটির বেশিরভাগ জেলাতেই আইসিইউ স্থাপন করা গেলোনা কেন তা নিয়ে মন্তব্য করেনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কেউ। সূত্র, DBC বাংলা