Type to search

অভয়নগরে আল মদিনা হাসপাতালে নবজাতক মৃত্যুর ঘটনায় আদালতে মামলা

অভয়নগর

অভয়নগরে আল মদিনা হাসপাতালে নবজাতক মৃত্যুর ঘটনায় আদালতে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়ায় আল মদিনা (প্রা) হাসপাতাল ও ডায়াগনিস্টিক কমপ্লেক্সে একজন নবজাতক মৃত্যুর ঘটনায় আদালত থানার অফিসার ইনচার্জকে মামলা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।নবজাতকের ফুফু জেসমিন খাতুন বুধবার(৪/৯/২৪) বাদি হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলার জন্য আবেদন করেন।
মামলায় প্রধান আসামীর তালিকায় আছেন ওই হাসপাতালের মালিক মোঃ নাজমুল হুদা এছাড়া অন্য আসামী হলেন অবসর প্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. কেরামত আলী(৬০)।
মামলার নালিশের বিবরণে জানা গেছে, বাদির ভাবীর (ভাইয়ের স্ত্রী)প্রসাব যন্ত্রনা উঠলে গত বৃহস্পতিবার(২৯/৮/২৪) সন্ধ্যায় আল মদিনা (প্র) হাসপাতাল ও ডায়াগস্টিক কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের মালিক এ সময় বাহির থেকে ডা. কেরামত আলীকে ডেকে আনে। ভাবীকে অপারেশন থিয়েটারে ঢুকানো হয়। তারা দুই জনে মিলে আমার ভাবীকে অপারেশন করে। ওই রাতেই অপরেশন করে একটি পুত্র সন্তান ভূমিষ্ট হয়। তার নাম রাখা হয় রাফসানা হোসেন। শিশুটিকে অক্সিজেন দেওয়া ছিলো। তাকে দুধ খাওয়ানোর সময় দুধ বমি করতে থাকে। শিশুকে তারা বাইরের ডাক্তার দেখাতে চায় কিন্তু হাসপাতালের মালিক নাজমুল হুদা যেতে দেয়নি। পরে নাজমুল হুদা ্ওষুদ কেনার জন্য প্রেসক্রিপশন লিখে দেয়।
শুক্রবার (পরের দিন ) সকাল সাড়ে এগারোটায় ওই প্রেসক্রিপশনের দুই ইনজেকশন ও কিছু ট্যাবলেট কিনে আনা হয়। শিশুটিকে পর পর দুইটি ইনজেকশন দেওয়া হয়। ইনজেকশন দেওয়ার পর শিশুটি একেবারে চুপ হয়ে যায়। তখন ডাক্তার কেরামত কে ডেকে এনে শিশুটিকে আবার অপরেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। সেখানে আরো একটি ইনজেকশন দেওযা হয়। শিশুর নড়াচড়া একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। আসামীরা তাড়াতাড়ি এ্যামবুলেন্স ডাকিয়া শিশুকে খুলনায় পাঠায়। পথিমধ্যে বেলা ২টার সময় শিশুর মৃত্যু হয়।
বাদির অভিযোগ হাসপাতালের মালিক নাজমুল হুদার কোন প্রকার মেডিকেল সার্টি ফিকেট নেই অথচ তার হাসপাতালে জরুরী রোগীদেও চিকিৎসা দেয়। তার ভুল চিকিৎসা, ও তুচ্ছ তাচ্ছিল্যতায় শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
এব্যপারে জানতে চাইলে ওই মামলার নিযুক্ত আইনজিবী আবুল ওয়াহেদ বলেন,‘আদালত বাদির আবেদনটি আমলে নিয়ে মামলা গ্রহণের জন্য অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দিয়েছেন।’
অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ আকিকুল ইসলাম বলেন,‘ আদালতের নির্দেশ এখনো আমার হাতে পৌছায়নি। আদেশ নামা পেলে মামলা নেওয়া হবে।’