কেশবপুর পৌরসভার মেয়রের বিরুদ্ধে টেন্ডার ছাড়াই পশুহাটের লাখ লাখ টাকার গাছ কর্তনের অভিযোগ
আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি ॥
কেশবপুর পৌরসভার মেয়রের বিরুদ্ধে টেন্ডার ছাড়াই সরকারি পশুহাটের লাখ লাখ টাকার শিশু গাছ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে। ওই হাট থেকে ইতোমধ্যে ৫টি গাছ কর্তন করে নিয়ে গেছে কাঠ ব্যবসায়ী। খবর পেয়ে গত মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তনকৃত কাঠ জব্দ করেছে।
জানা গেছে, কেশবপুর সরকারি পশুহাটের বৃহদাকার শিশু গাছগুলো ১ বছর আগে মারা যায়। যার আনুমানিক মূল্য কয়েক লাখ টাকা বলে ব্যবসায়ীরা জানান। পশুহাটে মরা গাছের ডাল পড়ে প্রায় সময় ব্যবসায়ীসহ হাটুরেরা আহত হয়। এ সমস্যা নিরসনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মরা শিশু গাছের মূল্য নির্ধারণসহ টেন্ডারের জন্যে মাপযোগ করতে উপজেলা বন বিভাগকে নির্দেশ দেয়। ১৬ জুলাই উপজেলা বন বিভাগের পক্ষে পশুহাটের মরা গাছের মূল্য নির্ধারণসহ টেন্ডারের জন্যে মাপযোগ করতে যায়। এসময় এক ব্যবসায়ীকে গাছ কর্তন করতে দেখে তিনি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানান। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে কেশবপুর পৌর সহকারী ভূমি কর্মকর্তা গাছ কর্তন বন্ধসহ কর্তনকৃত কাঠ জব্দ করেন।
পশুহাটের গরু ব্যবসায়ী শাহিনুর রহমান জানায়, গত ১ সপ্তাহ ধরে ওই হাটের গাছ কর্তন চলছে। সোমবার হাটের দিন মরা গাছের ডাল ভেঙে এক হাটুরে আহত হয়েছিল। যে কারণে গাছ কর্তন জরুরী হয়ে পড়েছে। শুনেছি ভোগতী এলাকার শাহীন ব্যাপারী মেয়রের কাছ থেকে গাছ কিনে কর্তন করছে। গাছের ১ লক্ষ টাকাও পরিশোধ হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে কেশবপুর পৌর সহকারী ভূমি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, কেশবপুর পৌরসভাধীন পশুহাট সরকারি সম্পত্তি। পৌরসভা ইজারা দিতে পারে। কিন্তু গাছ কাটার কোনো ক্ষমতা পৌরসভার নেই। পশুহাটে ১৭টি গাছ আছে। এরমধ্যে ৩টি গাছ কেটে গর্ত ভরাট করে সমান করা হয়েছে। ১ সপ্তাহ আগে আরও ২টি গাছ কেটে নিয়ে গেছে কাঠ ব্যবসায়ী। উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যারের নির্দেশে কর্তনকৃত কাঠ জব্দ করা হয়েছে।
উপজেলা বন কর্মকর্তা হাবিবুজ্জামান বলেন, ১৬ জুলাই পশুহাটের মরা গাছের মূল্য নির্ধারণসহ টেন্ডারের জন্যে পশুহাটে যাই। সেখানে দেখতে পাই এক কাঠ ব্যবসায়ী তার শ্রমিক দিয়ে গাছ মারছে। এঘটনা মুঠোফোনে ইউএনও স্যারকে জানানো হয়।
কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন, পৌরসভার মাসিক সভায় পশুহাটের মরা গাছ অপসারণের সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত মোতাবেক গাছ কর্তন চলছিল। ইউএনও কেন গাছকাটা বন্ধ করলো তা তিনিই ভালো বলতে পারবেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুহিন হোসেন বলেন, সরকারি গাছ কর্তনের খবর পেয়ে কাঠ জব্দ করা হয়ছে। টেন্ডার ছাড়াই যারা গাছ কেটে বিক্রি করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। #