Type to search

খুলনা মহেশ্বেরপাশায় নিখোঁজের দুই মাসেও খোজ মেলেনি স্ত্রী ও শিশু কণ্যার

খুলনা

খুলনা মহেশ্বেরপাশায় নিখোঁজের দুই মাসেও খোজ মেলেনি স্ত্রী ও শিশু কণ্যার

খু

 

নগরীর দৌলতপুর থানাধীন মহেশ^রপাশা দক্ষিণ মল্লিকপাড়ায় ঘর ভাড়া দিতে না পারায় আব্দুল হকের স্ত্রী ও শিশু কন্যাকে স্বামীর অনুপস্থিতিতে দুই মাস আগে ঘর থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারন ডায়রি করেছেন আব্দুল হক।

জানাগেছে, মহেশ^রপাশা দক্ষিণ মল্লিক পাড়ার মজনুর বাড়ীতে প্রতিবন্ধি স্ত্রী আয়শা বেগম(৩৫) ও শিশু কণ্যা আমেনা(৩)কে নিয়ে ভাড়া থাকতেন ঢাকার সাভারের ইমপ্রেন্স লাইবিলাস বাংলাদেশ লিমিটেডের নৈশ প্রহরী আ. হক(৪৯)। করোনাভাইরাসের কারণে দেশে লকডাউন থাকায় তিনি বাড়ীতে আসতে এবং টাকা পাঠাতে বিলম্ব হয়। বাড়ীর মালিক মজনু ঘর ভাড়া না পেয়ে গত ২৬ এপ্রিল ভাড়াটিয়া আ. হকের অনুপস্থিতিতে প্রতিবন্ধি স্ত্রী ও শিশু কন্যাকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে ঘরে তালা লাগিয়ে দেয়। আ. হক স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করতে না পেরে ৩১মে বাসায় এসে দেখে তার ঘরে তালা দেওয়া। ঘরে প্রবেশ করতে গেলে এবং স্ত্রী সন্তানের কথা জানতে চাইলে তাকে বের করে দেওয়া হয়। পরবর্তিতে তিনি বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করলে থানা পুলিশ তাকে ঘরে তুলে দিলেও তিনি ঘরের মালামাল, স্ত্রী, শিশু সন্তানকে খুজে পায়নি।

 

অভিযোগকারী আ. হক জানায়, আমি ঢাকায় চাকুরীতে থাকায় করোনাভাইরাসে বেতন না পাওয়ায় স্ত্রীকে টাকা পাঠাতে পারিনি। দেশে লকডাউন থাকায় আমি খুলনাতে আসতে না পারায়  ঘর ভাড়া  এক হাজার টাকা দিতে পারিনি।  বাড়ীর মালিক মজনু এবং তার ভগ্নিপতি মিলন আমার অনুপস্থিতিতে ঘর ভাড়ার এক হাজার টাকার জন্য প্রতিবন্ধি স্ত্রী ও শিশু কন্যা সন্তানকে ঘর থেকে তাড়িয়ে দেয়। আমার ঘরে থাকা সেলাইমেশিন সহ যাবতিয় মালামাল তারা বিক্রি করে দিয়েছে। আমার স্ত্রী সন্তানকে আজ প্রায় দুই মাস হতে চলেছে খুজে পাইনি। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করায় আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে। আমি স্ত্রী-সন্তানকে হারিয়ে বর্তমানে চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।