Type to search

অভয়নগরে স্কুলের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে জনসভা

অভয়নগর

অভয়নগরে স্কুলের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে জনসভা

স্টাফ রিপোর্টার:যশোরের অভয়নগর উপজেলার ঘোপেরঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ থেকে নির্মাণাধীন স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় মামলার প্রতিবাদে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষাথী, অভিভাবকসহ এলাকাবাসী প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। আজ শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪ টার সময় চেঙ্গুটিয়া বাজারে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ মোকসেদুর রহমান হিরক এর সভাপতিত্বে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, উপজেলা প্রশাসনের কয়েক অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজোসে ঘোপেরঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি ব্যক্তির নামে রেজিস্ট্রি করা হয়েছে। কিভাবে রেজিস্ট্রি করা হয়েছে জনগণ জানতে চায়। অবিলম্বে ওই জমির রেজিস্ট্রেশন বাতিলসহ ১১ জনের নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

স্কুলসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন অভয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, সাবেক পৌর মেয়র এনামুল হক বাবুল। এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলেিগর সাধারন সম্পাদক অলিয়ার রহমান সরদার,সানা আব্দুল মান্নান, জাহাঙ্গীর আলম, মনোয়ার হোসেন, আব্দুল হামিদ মাষ্টার, বাবুল আক্তার, আব্দুল গফ্ফার, নারায়ন চন্দ্র সাহা, শফি কামাল, মন্টু ঘোষ,আবুল হোসেন প্রমুখ।

গত ২ জানুয়ারী মানববন্ধন শেষে ক্ষুদ্ধ এলাকার নারীরা বিদ্যালয়ের মাঠে তৈরী করতে থাকা স্থাপনা ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়। এরপর ওই জমির ক্রেতা এবং দখলকারী উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের ইকরামুল কবির বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিতা রানী পোদ্দারসহ ১১ জনের নামে মামলা করে। ওই মামলার প্রতিবাদে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, স্থানীয় দানশীল ব্যক্তি শশী ভ’ষণ সাহা ১৯৫৮ সালে ৫৮ শতক জমি দান করলে উপজেলার চেঙ্গুটিয়া এলাকায় ঘোপেরঘাট প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। এসএ রেকর্ডে ৪৯ শতক জমি বিদ্যালয়ের নামে রেকর্ড হয়। বাকী ৯ শতক জমি শশী ভ’ষণ সাহার নামে রেকর্ড হয়। ১৯৬৫ সালে দুটি মিস কেসের মাধ্যমে ওই ৯ শতক জমির মধ্যে খোদা বক্স গাজী, এলাহী বক্স গাজী ও আনোয়ার হোসেন গাজী ৪ শতক এবং রুহুল আমিন ৫ শতক জমির মালিক হন। সর্বশেষ রেকর্ডে ওই ৯ শতক জমি তাঁদের নামে রেকর্ড হয়। কিন্তু জমির শ্রেণী হিসাবে ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের জন্য ব্যবহৃত’ উল্লেখ করা হয়। তবে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা থেকেই জমি বিদ্যালয়ের দখলে রয়েছে। বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা সেখানে খেলাধূলা করে। রুহুল আমিনের মৃত্যুর পর তার ওয়ারেশগন গত বছরের ২২ অক্টোবর ৫১৪২/২০ নম্বর দলিল মূলে উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের ইকরামুল কবিরের নিকট ৫ শতক জমি বিক্রি করেন। জমি কিনেই ওই জমিতে থাকা লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ৫০ বছরের পুরনো দুটি মেহগনি গাছ ইকরামুল গোপনে বিক্রি করে দেন ।