Type to search

হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী

জাতীয় রাজনীতি

হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী

অপরাজেয়বাংলা ডেক্স: সাবেক রাষ্ট্রপতি, সামরিক শাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ।

১৯৩০ সালের পশ্চিমবঙ্গের দিনহাটায় জন্মগ্রহণ করেন এরশাদ। ১৯৫১ সালে যোগ দেন সেনাবাহিনীতে। ১৯৮২ সালের চব্বিশে মার্চ সেনাপ্রধান থাকা অবস্থায় তিনি নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে সামরিক আইন জারি করে ক্ষমতা দখল করেন। ক্ষমতায় থেকে রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করে ১৯৮৬ সালে গঠন করেন জাতীয় পার্টি। ওই বছর সংসদ নির্বাচনে মিডিয়া ক্যু করে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন দখল করে তার দল।

১৯৮৩ সাল থেকেই সব রাজনৈতিক দল তার বিরুদ্ধে একযোগে আন্দোলন অব্যাহত রাখে। বিরোধী দলগুলোর টানা আন্দোলেনর এক পর্যায়ে ১৯৯০ সালের ডিসেম্বরে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন এই সামরিক শাসক। পরবর্তী সরকার তার নামে বেশ কিছু দুনীতির মামলা দায়ের করে। সাজাও হয়। একই সাথে তাকে কারাবন্দি করা হয়।

কারাগারে থাকা অবস্থায় এরশাদ পঞ্চম ও সপ্তম সংসদ নির্বাচনে ৫টি করে আসনেই নির্বাচিত হন। প্রায় ৬ বছর কারাগারে থেকে ১৯৯৭ সালে তিনি মুক্ত হন। এর আগে অবশ্য তিনি সরকার গঠনে আওয়ামী লীগকে সমর্থন দেন। যদিও আড়াই বছর পর সমর্থন প্রত্যাহার করে ১৯৯৯ সালে বিএনপির সাথে জোট বাঁধেন তিনি।

এভাবেই কখনো আওয়ামী লীগ কখনো বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের প্রতি সমর্থন জানাতে থাকেন। এক পর্যায়ে তিনি সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা নির্বাচিত হন। মন্ত্রীর মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের দাযিত্বও পালন করেন।

হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, ‘তিনি ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক ও জননন্দিত সফল রাজনীতিবিদ। দুর্নীতিমুক্ত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে তিনি বেশকিছু উদ্যোগ নেন। এগুলোর মধ্যে কিছু তিনি জীবিত থাকতেই বাস্তবায়ন করে গেছেন এবং কিছু উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। আমাদের এখন দায়িত্ব তার অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া।’

সামরিক এক নায়ক থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া জেনারেল এরশাদের দল বর্তমান একাদশ সংসদেও বিরোধী দলের ভূমিকায় রয়েছে। তার স্ত্রী রওশন এরশাদ বিরোধী দলীয় নেতা নির্বাচিত হয়েছেন।সূত্র,ডিবিসি নিউজ