সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন,বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বপ্ন পূরণ হবে না
বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বপ্ন পূরণ হবে না
সামনের জাতীয় সংসদ নির্বাচন এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে নিরপেক্ষভাবে হবে
-ওবায়দুল কাদের
নড়াইল থেকে
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন,বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক
সরকারের স্বপ্ন পূরণ হবে না।‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয় আদালত ফয়সালা
করবে। ওটা ফিরে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। সামনের জাতীয় সংসদ নির্বাচন এই
নির্বাচন কমিশনের অধীনে নিরপেক্ষভাবে হবে। নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা নির্বাচন
কমিশনের অধীনে থাকবে। এটা বারবার বলার পরও তারা পানি ঘোলা করছে।
নির্বাচনে না এসে তাদের উপায় নেই।’
তিনি আরো বলেন,আগামি অক্টোবর মাসের যে কোন দিন উদ্বোধন হবে কালনা পয়েন্টে
নির্মাণাধীন মধুমতি নদীতে সেতুটি। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের তারিখ
নির্ধারণ করবেন। এ সেতুর নাম দেওয়া হয়েছে ‘মধুমতি সেতু’। পদ্মা সেতু চালু
হওয়ার পর এ সেতুটি ছিল মিসিং লিংক। যথাসময়ে এ সেতুর কাজ শেষ হয়েছে।
নড়াইলবাসীর জন্য এ সেতুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সেতুর
চালু হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে কানেক্ট করবে। এর সুফল
পাবে নড়াইল,যশোর, মাগুরা, ঝিনাইদহ, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও বেনাপোল
অঞ্চলের মানুষ।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কালনা পয়েন্টে
মধুমতি নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতু পরিদর্শনে এসে ওবায়দুল কাদের এসব কথা
বলেন। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন
মুর্তজা, সেতুর প্রকল্প পরিচালক শ্যামল কুমার ভট্টাচার্য, সড়ক ও জনপথ
বিভাগের (সওজ) গোপালগঞ্জ অঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. সুরুজ
মিয়া, সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী
সৈয়দ মো: আসলাম আলী, সেতুর প্রকল্প ব্যবস্থাপক সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ)
নড়াইলের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান, নড়াইলের পুলিশ সুপার
মোসা. সাদিরা খাতুন, নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: ফকরুল
হাসান, লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সী আলাউদ্দীন ও সাধারণ
সম্পাদক সৈয়দ মশিয়ূর রহমান প্রমুখ।
সেতু মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা মায়নামারের উসকানির ব্যাপারে সংযমী আচারণ
করছি। পরিষ্কার কথা, আমরা কারোর সঙ্গে যুদ্ধ করব না। তবে আমাদের বিজিবি ও
অন্যান্য বাহিনী প্রস্তত আছে। বাংলাদেশ অত্যন্ত সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে যাদের সেখানে দায়িত্ব দেয়া
দরকার সেখানে তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ যুদ্ধ চায় না শান্তি
চায়।ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ বিশ^ অর্থনীতিকে বিধস্ত করে তুলেছে।