Type to search

স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল খাতে বিপ্লব ঘটেছে প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই

জাতীয় বাংলাদেশ

স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল খাতে বিপ্লব ঘটেছে প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই

অপরাজেয়বাংলা ডেক্স
১৯৯৭ সাল পর্যন্ত দেশে টিভি চ্যানেল বলতে ছিল শুধু বিটিভি। সেখানে বর্তমান সরকারের হাত ধরে এখন ৩৫টি চ্যানেল চালু আছে।

আরো দশটি রয়েছে সম্প্রচারের অপেক্ষায়। ঘরে ঘরে তথ্য ও বিনোদন পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ভিত মজবুত হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যার হাত ধরেই। একটি দেশের টিভি চ্যানেল সেদেশের সংস্কৃতির ধারক। টেলিভিশন স্ক্রিনে চোখ রাখলেই বোঝা যায় সেই দেশের মানুষের রুচিবোধ, সৃষ্টিশীলতা ও চেতনার বিস্তার।

বাংলাদেশেও একটি অসাম্প্রদায়িক জাতির বিনির্মাণ এবং বিশ্বের বুকে দেশ ও দেশীয় পণ্যের পরিচিতি ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে দেশের টিভি চ্যানেলগুলো। তখনকার পাকিস্তান টেলিভিশন কর্পোরেশনের ঢাকা কেন্দ্র হিসেবে ১৯৬৪ সালের ২৫শে ডিসেম্বর যাত্রা শুরু। স্বাধীনতার পর নাম হয় বাংলাদেশ টেলিভিশন। দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রায়ত্ত এই একটি চ্যানেলই ছিলো দেশের টেলিভিশন দর্শক ও শ্রোতাদের তথ্য ও বিনোদনের একমাত্র মাধ্যম।

তবে সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন এসেছে সরকার প্রধান শেখ হাসিনার হাত ধরে। ১৯৯৬ সালে প্রথম দফায় ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনা সরকার অনুমোদন দেয় দেশের প্রথম বেসরকারি টেলিভিশন একুশে টিভিকে। এর পরিণতিতে গণমাধ্যম ও বিনোদন মাধ্যম দ্রুত পাল্টাতে শুরু করে।

গণমাধ্যম বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলাম রহমান বলেন,’এই যে টেলিভিশন চ্যানেলগুলো সম্প্রচার করছে, বিভিন্ন ধরণের অনুষ্ঠান প্রচার করছে, এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে তারা অবাধে সংবাদ, টক শো, আলোচনা করে যাচ্ছে, তাতে করে দল, মত নির্বিশেষে সকলের মতামত প্রকাশ হচ্ছে।  সকলের মত আমরা পাচ্ছি।’

স্বাধীনতার পর যেখানে শুধু শহরকেন্দ্রিক উচ্চ ও উচ্চ মধ্যবিত্তদের হাতের নাগালে ছিল টিভি সেট বিদ্যুৎতায়নের কল্যাণে এখন সেখানে টেলিভিশন সেট ছড়িয়ে পড়েছে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত। ক্যাবল নেটওয়ার্কে যুক্ত টিভি সেটের সংখ্যা এখন ৪ কোটি ছাড়িয়ে গেছে।

দর্শক বাড়ার সাথে সাথে বেড়েছে টেলিভিশন চ্যানেলের সংখ্যাও। ক্ষমতাসীন দলের হাত ধরে মাত্র দুই দশকেই এই সংখ্যা হয়েছে প্রায় অর্ধশত। অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু জানান,’প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই কিন্তু বেসরকারি টেলিভিশনের যাত্রা শুরু। তখন থেকেই গণমাধ্যমের বিপ্লব ঘটে। আমাদের দেশের প্রচুর ছেলে মেয়ে এর সাথে যুক্ত হয়। তখনই আমরা উপলব্ধি করি যে, কতটা সম্ভবনাময়ী একটা সেক্টর আর কতোটা ট্যালেন্টেড ছেলে মেয়ে আমাদের দেশে আছে, যারা এই প্রফেশনে নিযুক্ত হতে পারে।’

দেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল খাতকে সমৃদ্ধ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই অবদান একদিকে যেমন ভূমিকা রাখছে অর্থনীতিকে বেগবান করতে অন্যদিকে মজবুত করেছে দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ভিত।সূত্র,ডিবিসি নিউজ