Type to search

সেতু যেন মরণফাঁদ, দুর্ভোগে স্থানীয়রা

নড়াইল

সেতু যেন মরণফাঁদ, দুর্ভোগে স্থানীয়রা

হাফিজুল নিলুু,  নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইলের লোহাগড়ার শালনগর ইউনিয়নের বাতাসী ফুলবাড়িয়া গ্রামের সেতুটি পরিণত
হয়েছে মরণফাঁদে। প্রতিদিন এই সেতুর ওপর দিয়ে শতশত মানুষসহ অসংখ্য যানবাহন
চলাচল করে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতুটি দীর্ঘ এক বছর ধরে ভেঙে পড়ে আছে।
এতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা এই সেতু পার হচ্ছে।
শিক্ষক মিরাজ খাঁন জানান এক বছর আগে একটি ট্রলি চলতে গিয়ে ভেঙে পড়ে
সেতুটি। এরপর স্থানীয় লোকেরা কয়েকটি কাঠের তক্তা দিয়ে পারাপার করছেন।
এছাড়া সেতুটিতে ঝুঁকি রয়েছে জেনেও মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল নিয়ে বাধ্য হয়েই
চলছে পারাপার।
স্থানীয় কৃষক মুজিবর রহমান বলেন, আমি কৃষি কাজ করি, ফসল নিয়ে বাড়ি যেতে
অনেক কষ্ট হচ্ছে। গাড়ি চলাচল করতে পারে না। আমরা খুব সমস্যায় আছি।
কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের দাবি যাতে দ্রুত সেতুটি করে দেওয়া হয়।
মাদরাসা শিক্ষক খান হুসাইন আহমেদ বলেন, আমার এখান দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত
করতে হয়। আমিসহ এই এলাকার মানুষ অনেক ভোগান্তিতে রয়েছে। আমি এলাকাবাসীর
পক্ষ থেকে দাবি করছি সেতুটি যাতে দ্রুত করে দেওয়া হয়।
মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের এই সেতুটির জন্য প্রায় এক বছর ভুগতেছি।
চলাচলের জন্য খুব কষ্ট হচ্ছে। হেঁটে যেতেও খুব কষ্ট হয়। মাঠের ফসল বাড়িতে
নেওয়াতে সমস্যা হয়। ইউনিয়ন পরিষদকে জানানো হলেও কোনো গুরুত্ব দেয়নি বলে
অভিযোগ করেন তিনি।
শালনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান লাবু মিয়া বলেন, প্রায় এক বছর
আগে সেতুটি ভেঙে যায়। কাঠের তক্তা দিয়ে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পারাপার
করা হচ্ছে। লোহাগড়া এলজিইডি অফিস থেকে সরেজমিনে এসে দেখে গেছেন। আশা করছি
দ্রুত কাজ শুরু হবে।
এ বিষয়ে এলজিইডি লোহাগড়া উপজেলা প্রকৌশলী আবু সাঈদ মোঃ জসীম বলেন, আমাদের
এই অর্থবছর শেষ হওয়ায় সেতুটির জন্য ফান্ড পাওয়া যায়নি। প্রস্তাবনা পাঠানো
হয়েছে, আশা করছি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা বাস্তবায়ন হবে।