Type to search

সুন্দলীতে স্ত্রীর মর্যাদা পেতে সন্তান নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন এক নারী

অভয়নগর

সুন্দলীতে স্ত্রীর মর্যাদা পেতে সন্তান নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন এক নারী

স্টাফ রিপোর্টার
অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের ডহরমশিয়াহাটি দক্ষিণ (বাড়েদা) গ্রামে এক নারী স্ত্রীর মর্যাদা পেতে সন্তান নিয়ে দ্বাওে দ্বারে ঘুরছেন। জানা গেছে ওই গ্রামের বিকাশ বিশ^াসের পুর মিহির বিশ^াস ঘরে স্ত্রঅ বর্তমান থাকার পরেও ৩বছর আগে দ্বিতীয় বিয়ের পিড়িতে বসেন। ওই ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামের আশুতোষ সরকারের মেয়ে সুইটি সরকারের সাথে ওই বিয়ে হয়।
বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই তাদের ঘর আলো করে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের পর থেকেই মাঝে মধ্যে অজানা কোনো কারনে গৃহবধু সুইটি সরকারের উপর শুরু হয় নির্যাতন। দিন দিন নির্যাতনের মাত্রা বাড়তে থাকে। শত নির্যাতন সহ্য করেও দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী সুইটি স্বামীর ঘর ছাড়তে নাজার। এই পরিস্থিতিতে সুইটিকে স্বামীর সংসার থেকে বের করে দেওয়ার অপকৌশল তৈরী করে। মিহির সুন্দলী গ্রামের সুশিল কবিরাজের ঘর ভাড়া করেন সেখানে সববাস করেন। কিন্তু ঘর ভাড়া করার ২মাস পার হলেও মিহির স্ত্রী সন্তানের কাছে একটি রাত্রিও যাপন করেননি। এমতাবস্থায় যুবতী মহিলাকে ঘরের মালিক বদনামের ভয়ে তার ভাড়াটে ঘরে থাকতে দিতে নারাজ। উপায়ন্তু না পেয়ে সুইটি তার শিশু পুত্রকে নিয়ে বাবার বাড়ি আড়পাড়ায় চলে যায়। পরবর্তীতে মিহির সুন্দলী বাজারে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে একসাথে থাকবে বলে স্ত্রীকে আশ^স্ত করে। স্বামীর এই আশ^াসে গত ১৬ অক্টোবর রবিবার একমাত্র ছেলেকে সাথে নিয়ে সুন্দলী বাজারে স্বামী মিহিরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চলে আসে। এসময় স্বামী মিহির স্ত্রী সুইটি ও তার কোলে থাকা সন্তানকে দোকান থেকে টেনে হিচড়ে রাস্তায় নামিয়ে দোকান বন্ধ করে দিয়ে বাজার ত্যাগ করে। পরবর্তীতে সুইটি তার শিশু সন্তানকে নিয়ে স্বামীর দোকানের সামনে দীর্ঘ রাত্রি পর্যন্ত বসে থাকতে দেখে দীর্ঘ রাত আনুমানিক ১২টার দিকে বাজারের লোকজন মহিলার সাথে কথা বলে এবং মহিলাটি মিহিরের স্ত্রী জানতে পেরে বাজারের লোকজন তখনি ফোনে মিহিরকে বাজারে এসে তার স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে যেতে বলে। আসতে দেরি দেখে পরবর্তীতে আবার তাকে ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ
পেলে সুন্দলী রাজারের লোকজন উপায়ন্তু না পেয়ে তখনি সুন্দলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিকাশ রায় কপিলকে ফোনের মাধ্যমে বিষয়টি জানায়। এসময় সুন্দলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গৃহবধু সুইটি সরকার ও সন্তানকে আড়পাড়ায় তার বাবা আশুতোষ সরকারের কাছে হস্তান্তর করে। গৃহবধু সুইটি স্বামীর ঘর আঁকড়ে রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কিন্তু স্বামী মিহির স্ত্রীকে ঘরে না তোলার বিভিন্ন অপকৌশল অবলম্বন করে চলেছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় মিহির বিশ^াস তার প্রথম স্ত্রীকে নির্যাতন করে তাড়িয়েছে এবং দ্বিতীয় স্ত্রীকেও একইভাবে তাড়ানোর অপকৌশল করে চলেছে।