Type to search

সাম্যের বাংলাদেশ বিনির্মানে পেশাজীবীদের ভূমিকা

অন্যান্য

সাম্যের বাংলাদেশ বিনির্মানে পেশাজীবীদের ভূমিকা

বিলাল হোসেন মাহিনী
সমাজে রয়েছে নানা পেশার মানুষ। কুলি-মুজুর থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা (সচিব) পর্যন্ত প্রত্যেক পেশার রয়েছে বহুমূখী গুরুত্ব। আর পেশাজীবীর রয়েছে বহু দায়িত্ব ও কর্তব্য। আগামির স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে তাই পেশাজীবীদের ভূমিকা থাকবে সর্বাগ্রে। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাপত্রে বর্ণিত সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার থাকবে দেশের সকল নাগরিকের জন্য। আমরা সামাজিক জীব। পৃথিবীতে হাজারো প্রাণী’র বসত থাকলেও একমাত্র মানুষের বোধ ও বিবেক রয়েছে। বোধ ও বিবেকের উন্মেষ ঘটে আপনার চারপাশ থেকে। আর উন্নত ও সুষ্ঠু সমাজ বিনির্মানে সেই বোধ ও বিবেককে পরিশীলিত করে বাইরের জ্ঞান। যা আমরা কখনো বই পড়ে আবার কখনো বিভিন্ন মাধ্যমে (অনলাইন বা অফলাইনে বিশ্বভ্রমণে) পৃথিবীর উন্নত ও সভ্য জাতির সামাজিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক চিন্তার সাথে পরিচিত হয়ে শিখি। কিন্তু বাঙালিদের বিশেষতঃ বাংলাদেশী জনগোষ্ঠীর সমস্যা হলো- বেশিরভাগ সময় অপরকে প্রাধান্য না দেওয়ার প্রবণতা। সভ্য ও নতুন সমাজ এবং রাষ্ট্র নির্মানে পরামর্শ, সহনশীলতা, অপরের মতামতকে প্রাধান্য দেয়া ও জবাবদিহিতার মানসিকতা গড়ে তোলা অপরিহার্য। নতুন সভ্যতা গড়তে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন নবীন পেশাজীবীরা। যারা অপেক্ষাকৃত তরুণ, কর্মঠ ও আমানতদার। জাতীয় কবির ভাষায়-‘বার্ধক্যকে বয়সের ফ্রেমে বাঁধা যায় না’। ঠিক তাই, একজন ষাটোর্ধ্ব মানুষও তরুন থাকতে পারেন, যদি তিনি তার মনে তারুণ্যের রঙ মাখতে পারেন। আমাদের আজকের আলোচনা এই তারুণ্য নির্ভর পেশাজীবীদের নিয়ে; যারা দেশ তথা সমাজ গঠনে দায়িত্বশীল আচরণ করবেন। সাথে সাথে মনে রাখতে হবে, রক্তে কেনা স্বাধীনতার অর্ধ-শতাব্দী পর আমরা এমন একটা বাংলাদেশ বিনির্মান করতে চাই, যেখানে জাত-পাত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে শোষণ ও বঞ্চনামুক্ত ‘মানুষের’ সমাজ গড়ে উঠবে। থাকবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ভোট ও ভাতের অধিকার। এর জন্য সবার আগে নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে। আমি যা ভালোবাসি, পছন্দ করি- আমার নিজের জন্য, তা অপরের জন্যও পছন্দ করতে শিখতে হবে। ভিন্ন মত-পথ, ধর্ম-দর্শনের মানুষের সাথে সদ্ব্যবহার করতে হবে। অপরের চিন্তা ও দর্শনের প্রতি শ্রদ্ধা রাখতে হবে।

পরিবর্তনের পথে অন্তরায়সমূহ ঃ
আমরাতো পরিবর্তন চাই। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই পরিবর্তনটা কে করবে? সরকার? আমার দৃষ্টিতে না। শুধু সরকার বা প্রশাসনের লোকজন এই পরিবর্তন আনতে পারবে না। সমাজের সব পেশার মানুষকে সৎ, ন্যায়পরায়ন ও দায়িত্বশীল আচরণে অভ্যস্ত হতে হবে। প্রতিটি সরকারই চায় জনগণের ভালোবাসা নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে। কিন্তু কেনো পারে না? ভেবেছি কি কখনো আমরা? সরকারতো মঙ্গল গ্রহ থেকে আসেনি। আসেও না। আমরা (জনগণ) সরকার বানাই। আবার আমরাই সরকার চালাই। কিন্তু কাক্সিক্ষত সমাজ নির্মান হচ্ছে না কেনো। কেনো কেউ রাতারাতি ধনকুবের বনে যাচ্ছে, আবার কেউ অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের অভাবে কষ্ট পোহাচ্ছে? জবাব হলো, আমরা (জনগণ) বিশেষতঃ পেশাজীবীরা নিজেদের বদলাতে পারিনি। পারিনি উন্নত বিশ্বের উন্নত চিন্তার মানুষের অনুসরণে নিজেদেরকে মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত করতে। আমরা কখনো কলমের খোঁচায়, কখনোবা ওজনে কম দিয়ে, ভেজাল দিয়ে এই সমাজ ও রাষ্ট্রকে পেছনের দিকে নিয়ে যাচ্ছি।

একজন শিক্ষক নিঃসন্দেহে একজন দায়িত্বশীল পেশাজীবী। তাঁর দায়িত্ব হলো, নিজের ছেলের জন্য যা যা ভালো বলে মনে করেন, অন্যের সন্তানের জন্য তা-ই করা। কিন্তু আমরা কতজন পড়াশোনা করে পাঠদান করি? কতজন-ই বিশ্বের সভ্য ও সমৃদ্ধ দেশগুলোর শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে স্টাডি করি। কতজন অভাবী শ্রমজীবী মানুষের পড়–য়া ছেলে-মেয়েকে বিনাবেতনে পড়াই? আমরা শুধু অপেক্ষায় থাকি কবে বেতন ঢুকবে একাউন্টে! একইভাবে একজন চিকিৎসকও পেশাজীবী। একজন ডাক্তার বানাতে সরকারের কত টাকা গচ্চা যায়, তিনি কি তার হিসাব রাখেন? এমন কতজন ডাক্তার পাওয়া যাবে সমাজে, যারা অন্তত সপ্তাহে একদিন অথবা ন্যূনতম পনের দিনে একদিন তার গ্রামে যেয়ে সাধারণ মানুষের সেবা দিয়ে থাকেন? এভাবে দেখা যাবে একজন রিকশা চালক থেকে মুদি দোকানদার সবাই অপরকে ফাঁকি দেওয়ার অভিপ্রায় লালন করেন মনে। তাহলে আমরা বিভিন্ন পেশার মানুষেরা যদি অপর মানুষকে ফাঁকি দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে চলি, তবে কীভাবে সমাজ বদলাবে?
দায়িত্বশীল পেশাজীবীর গুণাবলী ঃ
একজন পেশাজীবী হিসেবে আমাকে আগে জানতে হবে আমার মধ্যে কী কী গুণ (দক্ষতা) থাকতে হবে। আমাকে অবশ্যই আগে আমার জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে হবে। একজন পেশাজীবী হিসেবে নিজ পেশা ও নতুন সমাজ নির্মানে বিশ্বের অন্যান্য সভ্য ও সমৃদ্ধ দেশের মানুষের আচরণ, তাদের চিন্তা ও সমাজে নতুন ধারা সৃষ্টিতে তাদের ভূমিকা কী তাও জানতে হবে। আর জানতে হলে পড়তে হবে। যেমন বর্তমান সময়ে জাপান, নেদারল্যান্ড, মিশর, মালয়েশিয়া ও ইংল্যান্ড-আমেরিকার সমাজ-সভ্যতা সম্পর্কে জানতে হবে। কেনো তারা (বিশেষ ধর্মীয় জ্ঞান ছাড়াই) দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পারলেন, কীভাবে? তাও জানতে হবে। জানার পর একজন পেশাজীবী হিসেবে আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য কী? এই সমাজের জন্য, মনুষের জন্য, আমার দল বা সংগঠন এবং সর্বোপরি আমার দেশের জন্য আমার কী কী করা দরকার তা খুঁজে বের করতে হবে।
কম কথা বলা ঃ পেশাজীবীকে বুঝেশুনে পরিবেশ-পরিস্থিতি জেনে কথা বলা ও কাজ করার আগে দশবার ভাবা দরকার। অধিক ধর্য্যরে পরিচয় দেয়া, বিশেষতঃ উর্দ্ধতন দায়িত্বশীল বা কর্মকর্তার নির্দেশনা তথা নেতার আনুগত্যকে প্রাধান্য দেয়া দরকার। সমসময় খেলায় রাখা যে, আমার বুঝ বা চিন্তাটা হয়তো সঠিক নয়। প্রবাদে আছে ‘আপনাকে বড় বলে বড় সেই নয়, লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়।’ সুতরাং ‘নিজেকে ছোট ভাবতে শেখা’ একজন বোধী দূরদর্শী পেশাজীবীর অন্যতম গুণ হওয়া দরকার।
আনুগত্য-পরামর্শ ও আত্ম সমালোচনা ঃ আমাদের একটা জাতীয় সমস্যা হলো, সমাজে দায়িত্বশীলের আনুগত্যে ও কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে পারস্পারিক পরামর্শ গ্রহণে অনিহা। বিশেষতঃ অন্যের ব্যক্তিগত পরামর্শ গ্রহণে নিজেকে ছোট মনে করা। কোনো বিষয়ে অনলাইন প্লাটফর্মে বা সামষ্টিক গ্রুপে হুটহাট কমেন্ট করে বসা যেনো নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন কেউ কারো কাছে খুব বেশি পরামর্শ চায় না। নিজেই প-িত বলে জাহির করতে মরিয়া আমরা। আর মতের মিল না হলেই ‘আমি এই সিদ্ধান্ত মানি না’ বা গ্রুপ ও সংগঠন থেকে লিভ নেওয়ার প্রবণতা বেড়েই চলেছে। আর আত্মসমালোচনা নেই বললেই চলে। নিজেকে নিয়ে ভাবা দরকার। আমি একজন পেশাজীবী হিসেবে আজ আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব কতটুকু পালন করতে সক্ষম হয়েছি? চলতি মাসে আমার সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানকে কতটুকু সময় দিয়েছি? চলতি বছরে কতজন মানুষকে তাঁর পেশা ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা সম্পর্কে জানাতে পেরেছি? এভাবে নিজেকে বার বার প্রশ্নবানে জর্জরিত করতে পারলেই বোধ ও বিবেকের উন্মেষ ঘটবে। সমাজ এমনি এমনিই পরিবর্তন হয়ে যাবে।
বহুরূপী না হওয়া ঃ মানুষের ভিতর ও বাইরের রূপ অভিন্ন না হলে সমাজেও উক্ত দ্বিমূখী আচরণের ছাপ পড়ে। দ্বিধার সমাজ গড়ে উঠে। আত্মদ্বন্দ্ব ও কলহ দানা বাধে। লোভ নিয়ন্ত্রণ ঃ পৃথিবীতে সেই তো সবচেয়ে সুখী মানুষ যিনি স্বল্পে তুষ্ট। কেননা, এই পৃথিবীর কোনো মানুষকে (যে অল্পে তুষ্ট নয়) যদি দুটি স্বর্ণের পাহাড় দেয়া হয় (মানে অর্থ ও নেতৃত্ব) তবুও সে আরও একটি স্বর্ণের পাহাড় পেতে লালায়িত থাকবে। সুতরাং আমার কর্মদক্ষতা আমার পজিশন ঠিক করে দেবে, এমন চিন্তা লালন করা দরকার।
জবাবদিহিতা : আমরা কি এভাবে চিন্তা করতে পারি না যে, ‘আমি একজন দায়িত্বশীল, আর আমাকে আমার দায়িত্বের ব্যাপারে অবশ্যই জিজ্ঞাসিত হতে হবে? তাহলে দেখবেন, সমাজ ও সংগঠনের সব অনিয়ম আপনা-আপনি দূর হয়ে যাবে। মনে রাখতে হবে, আমার পেশাদারিত্বের ওপর তীক্ষè দৃষ্টি রাখছেন কেউ না কেউ। আর আমাকে অবশ্যই আমার উর্দ্ধতন ও অধঃস্তনের কাছে আমার কর্মের স্বচ্ছতার জন্য জবাবদিহি হতে হবে। সর্বোপরি মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে তো জবাব দিতেই হবে।
অন্যের কাজের প্রশংসা ঃ আজকের সমাজ বাস্তবতা হলো- এখন কেউ অন্যের ভালো কাজের প্রশংসা করতে চায় না। হ্যাঁ, করে। তবে তা নিতান্তই তোষামুদি থেকে। আমাদেরকে পরশ্রিকাতরতা, হিংসা-বিদ্বষ ও অহংকারমুক্ত একটা সবুজ সতেজ ও সাদা মনের মানুষ হতে হবে। আর এই দায়িত্ব শুধু সরকার বা সরকারি প্রশাসনের নয়। রাষ্ট্র ও সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষ যদি ভালো হয়ে যায়, তো যে কাক্সিক্ষত নতুন ধারার সমাজ নির্মানে একঝাঁক মেধাবী, নিষ্ঠাবান ছাত্র-যুবক এবং তারুণ্য নির্ভর নবীন পেশাজীবীরা দিনরাত সাধনা করে যাচ্ছেন, তাতে তারা সফল হবেন।
নেতা ও নেতৃত্ব ঃ  নেতা অত্যন্ত ধৈয্যশীল, পরিশ্রমী, বিনয়ী ও দূরদর্শী হবেন। নেতা দায়িত্ব বা পদ চেয়ে নেবেন না। তার কর্মদক্ষতাই তাকে তার যোগ্য দায়িত্বে ও পদে আসীন করবে। সহজ ও অতি সাধারণ কথা হলো- যিনি পদের জন্য লালায়িত, তিনি নেতৃত্বের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। নেতা নির্বাচিত হবেন প্রত্যক্ষ ভোটে আর মনোনীত হবেন উর্ধ্বতন দায়িত্বশীলদের মনোনয়নে। এমন হলে পেশাদারিত্ব ও সংগঠনের নেতৃত্ব গঠনে বিভাজন বন্ধ হবে। চেইন অন কমান্ড ঠিক থাকবে। যোগ্য লোক সংগঠক (নেতা) হবেন।
মনে রাখা দরকার, আদর্শ ও দর্শনের মৃত্যু হয় না। বরং তা বেঁচে থাকে অনন্তকাল। সময়ের  স্রোতে রঙিন সাম্পানে ভেসে ভেসে মানুষের মুক্তির কা-ারি হিসেবে রয়ে যায়। তাই সুনির্দিষ্ট ও নতুন দর্শন নিয়ে কাজ করতে হবে। সুদুরপ্রসারি লক্ষ্য উদ্দেশ্য, কর্মপদ্ধতি ও সময়োপযোগী গণকল্যাণমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। নতুন ধারা সৃষ্টিতে নিবেদিতপ্রাণ কর্মীর ভূমিকা পালন করতে হবে প্রত্যেককে। কিন্তু, বড়ই পরিতাপের বিষয়, আমরা যারা একটা নতুন শিষ্ট প্রজন্ম গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তারাই বারবার নিজেদেরকে প্রশ্নবিদ্ধ করছি। আজ বাংলাদেশে যেখানে সমচেয়ে বড় প্রয়োজন ঐক্য। সেই ঐক্য নিজেদের মধ্যে তৈরি করতে ব্যর্থ হচ্ছি। তো জাতি শুধরাবে কেমনে?
তাই আসুন, আগে নিজেকে পরিবর্তন করি। কম কথা বলি, বেশি শুনি। আমাদের সমস্যাগুলো পারস্পারিক পরামর্শ ও আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করি। জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করি। নিয়মিত বিভিন্ন জার্নাল, গবেষণা নিবন্ধ, সমাজ ও রাজনীতি উন্নয়ন অধ্যয়ন করি। স্টাডি সার্কেল, পাঠচক্র ও সেমিনারের আয়োজন করি। সমাজের সব শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেতে যার যার অবস্থান থেকে- কেউ অর্থ দিয়ে, কেউ সময় দিয়ে, কেউবা মেধা-মনন দিয়ে সহায়তা করি। আমরা যারা নিবেদিত প্রাণ পেশাজীবী, তারা সপ্তাহে বা পনেরো দিনে একদিন নিজ নিজ গ্রামে তথা এলাকায় যাই। বিশেষতঃ যারা চিকিৎসক ও আইনজীবী তারা খুব সহজেই সাধারণ মানুষের মন জয় করতে পারেন। রাখতে পারেন আপনার সংগঠনের জন্য বড় ভূমিকা। যদি বিনামূল্যে বা স্বল্পমূলে গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষকে, অসহায়-নির্যাতিত মানুষকে সেবা দিতে পারেন। আমাদের এই তারুণ্যনির্ভর দূরদর্শী পেশাজীবীদের সুনিয়ন্ত্রিত ও সুসংগঠিত কর্মপরিকল্পনায় নতুন বাংলাদেশ দেখবে আগামি প্রজন্ম, সেই প্রত্যাশায় শেষ করছি। ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *