Type to search

সাত মাসে তিনবার করোনায় আক্রান্ত ‘ চিকিৎসক

জাতীয় স্বাস্থ্যবিধি

সাত মাসে তিনবার করোনায় আক্রান্ত ‘ চিকিৎসক

সাত মাসে তিনবার করোনায় আক্রান্ত সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের এক চিকিৎসক। এমন নজির বিশ্বে বিরল।

গত সাত মাসে তিনবার কোভিড নাইনন্টিনে আক্রান্ত ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের চিকিৎসক নিহাররঞ্জন দাস। বিশ্বে দুইবার আক্রান্ত হওয়ার নজীর থাকলেও তিনবার আক্রান্ত হওয়ার নজীর পাওয়া যায়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিহারঞ্জনের ক্ষেত্রে আগের ভাইরাস নাকি নতুন করে ভাইরাসের সংক্রমণ তা নিশ্চিত হতে গবেষণা চলছে। এছাড়া, ২০ জন স্বাস্থ্য কর্মী যারা দ্বিতীয় দফায় আক্রান্ত হয়েছেন তাদের ব্যাপারেও চলছে পরীক্ষা।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক নিহার রঞ্জন দাস। প্রধমে ১৮ই এপ্রিল এবং দ্বিতীয় দফায় ১৯ শে জুলাই কোভিড নাইন্টিনে আক্রান্ত হন। সবশেষ ১৭ই অক্টোবর তৃতীয় বারের তার করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. নিহার রঞ্জন দাস বলেন, করনার ফলে আমার মাংস পেশি এবং মেরুদন্ডতে ব্যাথা, গলা খুসখুস, জ্বর এগুলো শুরু হয়।

গবেষকরা বলছেন, প্রথম দুবার ভাইরাসের সংখ্যা খুব কম ছিলো নিহার রঞ্জনের। কিন্তু তৃতীয়বার তা অনেক বেশি। আগের ভাইরাস নাকি নতুন করে ভাইরাসের সংক্রমণ তা নিশ্চিত হতে নিহার রঞ্জনসহ প্রায় ২০ জন স্বাস্থ্য কর্মীর নমুনা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. সমীর সাহা বলেন, তার প্রথম দুইবার ভাইরাসের সংখ্যা খুবই কম ছিল। আর যখন ভাইরাসের সংখ্যা কম থাকে তখন তা ঠিকমত ধরা যায় না। আমরা তার রক্ত পরীক্ষা করে দেখছি,তা দেখে আমরা বুঝতে পারবো তার এন্টিবডি কখইন কি অবস্থায় ছিল। আমাদের কাছে আরও ২০টি এমন কেইস আছে, সেগুলোও আমরা পরীক্ষা করে দেখছি।

আইইডিসিআর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর বলেন, যখন শরীরে ভাইরাসটি মরে যায়,তার প্রেগমেন্টগুলো শরীরে অনেকদিন থেকে যায়। তখন যদি আমরা আবার তাকে পরীক্ষা করাই তখন কিন্তু তা পজিটিভ আসবে। এটার মানে কিন্তু দ্বিতীয় সংক্রমণ নয়।

একাধিকবার আক্রান্ত হয়েছেন সারা বিশ্বে এরকম রোগী হাতে গোনা। গবেষকরা বলছেন, অনেক সময় মৃত কোষ পিসিআর পরীক্ষায় পজেটিভ আসতে পারে কিংবা অতিরিক্ত অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ সেবনে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া আক্রান্তের একটি কারণ হতে পারে।

অণুজীব বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. বিজন কুমার শীল বলেন, করোনা থেকে মুক্ত হওয়ার পরও যদি এন্টিবডি তৈরি না হয় এর বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। একটি হচ্ছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কাজ করছে না, অথবা এমন কোন ওষুধ খেয়েছেন যা এই ক্ষমতাকে কাজ করতে দিচ্ছে না। তাই আমার মতে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ খাওয়াই উচিত না।

করোনা প্রতিরোধে আগে থেকেই নানা রকম অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

 

সূত্র, DBC নিউজ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *