Type to search

সাতক্ষীরায় কুকুরের কামড়ে ২৩৯ জন আহত

অন্যান্য

সাতক্ষীরায় কুকুরের কামড়ে ২৩৯ জন আহত

অপরাজেয় বাংলা ডেক্স : সাতক্ষীরা পৌরসভা এলাকায় হঠাৎ বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব ব্যাপকভাবে বেড়েছে। শহরের মোড়ে মোড়ে অসংখ্য কুকুর দল বেধে অবস্থান নিয়েছে। তাদের কামড়ে গত ১২ দিনে ২৩৯ জন আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। আর গত এক মাসের তথ্য মতে আহতের সংখ্যা সহস্রাধিক।
তবে পৌর মেয়রের দাবি, সরকারের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা থাকায় কুকুর হত্যা করা যাবে না।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সাতক্ষীরা শহরের বিভিন্ন মোড়ে অসংখ্য কুকুর বিচরণ করছে। এরা রাতে ও দিন পথচারীদের ধাওয়া করে কামড়ায়। তাদের ধারণা খাবার সংকটের কারণে কুকুরগুলো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে সাধারণ মানুষ কুকুর দেখলেই একটু সর্তক হয়ে চলাফেরা করছেন।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জলাতঙ্ক বিভাগের তথ্য মতে, চলতি মাসের ১২দিনে কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ২৩৯ জন। এরমধ্যে গত বৃহস্পতিবার চিকিৎসা নিয়েছেন ৩৫জন। এই ১২দিনে কুকুরে কামড়ানো পুরাতন ৫১৭ জন রোগীও চিকিৎসা নিয়েছেন। গত অক্টোবর মাসে কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন নতুন ৩২৬ জন এবং পুরানো রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন ৯০৬ জন। আহতদের অধিকাংশই গুরুতর জখম হয়েছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের জলাতঙ্ক বিভাগের চিকিৎসক। আহতদের অধিকাংশই বৃদ্ধ ও শিশু-কিশোর।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র তাজকীন আহমেদ চিশতী বলেন, কুকুর নিধন না করার জন্য সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। তাই পাগলা কুকুরদের নিবৃত করতে রাতে মোড়ে মোড়ে খাবার  দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রতিটি এলাকার পরিচ্ছনকর্মীদের সে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একইসাথে তিনি পৌরবাসীকে আরও সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছেন।
সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ হুসাইন সাফায়েত জানান, ঋতুগত কারণে কখনও কখনও কুকুরের আক্রমণ ভাবটা বেড়ে যায়। তারা অনেকটাই উন্মাদ হয়ে পড়ে। ফলে সাধারণ মানুষকে হঠাৎ হঠাৎ কামড়াতে থাকে। বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন রয়েছে। তবে কুকুরে কামড়ানো রোগির সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। সেক্ষেত্রে যদি ভ্যাকসিনের সংকট পড়ে ব্যক্তি উদ্যোগে ভ্যাকসিন গ্রহনের আহবান জানান তিনি। কারণ কুকুরে কামড়ানোর পর ভ্যাকসিন না নিলে জলাতাংক রোগের আশংকা বেড়ে যায়।

সূত্র, সুবর্ণভূমি