Type to search

সরকারি মূল্যের চেয়ে খোলা বাজারে ধানের দাম বেশি

অন্যান্য

সরকারি মূল্যের চেয়ে খোলা বাজারে ধানের দাম বেশি

অপরাজেয় বাংলা ডেক্স

গত ৬ ডিসেম্বর  হিলি এলএসডি খাদ্যগুদাম চত্বরে হাকিমপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশীদ হারুন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ আলম কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের দিন একজন কৃষকের কাছ থেকে ১ টন ধান ক্রয়ের মধ্য দিয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধন হলেও এরপর থেকে আর কোনও ধান সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্যগুদাম কর্তৃপক্ষ।হিলির জালালপুর গ্রামের কৃষক সুজন হোসেন ও শরিফুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, চলতি মৌসুমে ধানে পোকার আক্রমণ দেখা দেওয়ার কারণে ধানের উৎপাদন কম হয়েছে। তবে ধানের উৎপাদন কম হলেও ধানের ভালো দাম পাওয়ায় সেই ঘাটতি কিছুটা কমে আসছে। বর্তমানে বাজারে প্রতি মণ ধান ১ হাজার ৫০ থেকে ১১শ টাকা পর্যন্ত দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে করে ধানের উৎপাদন খরচ মিটিয়ে আমাদের কিছু লাভ হচ্ছে, তবে পোকার আক্রমণ না হলে ধানের উৎপাদন বেশি হতো, এতে করে আমরা কৃষকরা আরও লাভবান হতাম। গতবছর তালিকায় নাম উঠায় সরকার নির্ধারিত ১ হাজার ৪০ টাকা দরে গুদামে ধান সরবরাহ করেছি। কিন্তু সরকার এবারও ধানের দাম গতবারের মতো একই মূল্য নির্ধারণ করেছে কিন্তু সেই দামের চেয়ে খোলা বাজারেই বাড়তি দামে ধান কেনা-বেচা হচ্ছে। তাই এবারে সরকারি গুদামে ধান না দিয়ে আড়ৎদারদের কাছেই বিক্রি করে দিয়েছি। এছাড়াও সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিতে গিয়ে বেশ ঝামেলা পোহাতে হয় ও এক সপ্তাহ অপেক্ষার পর ব্যাংক থেকে টাকা নিতে হয়। আর আড়ৎদারদের কাছে ধান বিক্রি অনেক সহজ। কোনও ঝামেলা পোহাতে হয় না। যার কারণে আমরা আড়ৎদারদের নিকট ধান বিক্রয় করে দিয়েছি।

হিলি এলএসডি খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা জোসেফ হাসদা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, উদ্বোধনী দিনেরপর থেকে আর কোনও কৃষক ধান দিতে খাদ্য গুদামে আসেনি। যার কারণে আর কোনও ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। মূলত সরকারিভাবে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে খোলাবাজারে ধানের মূল্য বেশি হওয়ায় কৃষকরা কেউ খাদ্যগুদামে ধান দিতে আগ্রহী নয়।

সূত্র,  বাংলা ট্রিবিউন