Type to search

সংযোগ রাস্তা নেই, কাজে আসছে না ব্রিজ

মনিরামপুর

সংযোগ রাস্তা নেই, কাজে আসছে না ব্রিজ

 

অপরাজেয় বাংলা ডেক্স : কুলটিয়া ইউনিয়নের দহকুলা ও হরিদাসকাঠি ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রাম দুটিকে আলাদা করেছে একটি খাল।

১৮ বছর আগে সেই দহকুলা খালের ওপর নির্মিত হয় আট লাখ ১২ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি ব্রিজ। দুই গ্রামের মানুষের সুবিধার কথা ভেবে ব্রিজটি তৈরি হলেও বেশিদিন তা কাজে লাগাতে পারেননি সেখানকার বাসিন্দারা। জলাবদ্ধতায় সংযোগ সড়ক ধুয়ে তলিয়ে যাওয়ায় এখন এই ব্রিজের ওপর দিতে চলাচল সম্ভব হচ্ছে না। দীর্ঘদিন ব্রিজটি অব্যবহৃত থাকলেও সেটি চালুর উদ্যোগ নেননি দুই ইউপির কোনো চেয়ারম্যান।
দহকুলা গ্রামের গৌর মণ্ডল বলেন, ব্রিজ হওয়ার পর দুই পাশে উঁচু করে মাটি ফেলেছে। কিন্তু রাস্তায় মাটি দেয়নি। দুই ইউনিয়নের শেষ মাথায় হওয়ায় এক চেয়ারম্যান অন্য চেয়ারম্যানরে ঠেলছে। কেউ সংস্কার করছেন না।
ওই গ্রামের কালিপদ মণ্ডল বলেন, ‘পাড়িয়ালি, বাগডাঙা ও দহকুলা গ্রামের কৃষকদের অধিকাংশ জমি খাল পেরিয়ে ওপারে। কৃষকদের ওই জমিতে যেতে হলে বা ফসল তুলতে হলে খাল পার হয়ে যেতে হয়। সেই কারণে ২০০২ সালে খালের ওপর ব্রিজটি নির্মিত হয়। গত কয়েক বছরের জলাবদ্ধতায় ব্রিজের দুই পারের রাস্তা ধুয়ে মাঠের সাথে মিশে গেছে। জমিতে যেতে হলে আমাদের অন্যগ্রাম হয়ে কয়েক কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে যেতে হচ্ছে।’
তারা জানান, ভুলবাড়ীয়া গ্রামের ২০-৩০ শিক্ষার্থী বাগডাঙা হাইস্কুলে যায়। শিক্ষকরা অনেকবার বলেও মেম্বার-চেয়ারম্যান দিয়ে রাস্তায় মাটি ফেলাতে পারেননি। ফলে বাচ্চাদেরও কষ্ট হচ্ছে।
দহকুলা খাল মাড়িয়ে বাহাদুরপুর মৌজায় মাছের ঘের করতে আসেন পাড়িয়ালি গ্রামের বাসুদেব। তিনি বলেন, ‘ঘেরের পাড় দিয়ে সরকারি রাস্তা থাকলেও মাটি দেওয়া হচ্ছে না। আমি ঘের কেটে মাটি দিয়ে রাস্তা উঁচু করেছি। রাস্তার বাকি অংশ খাল হয়ে পানি জমে আছে।’
বাগডাঙা-দহকুলা ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুর রউফ বলেন, ‘ব্রিজ পার হয়ে ওপারে রাস্তার কিছু অংশ আমার মধ্যে। চেয়ারম্যানকে বলে একবার কাবিখার বরাদ্দ দিয়ে ওপারে রাস্তার কিছু অংশ মাটি দিয়ে উঁচু করি। পরে আর মাটি দেওয়া হয়নি। তাই বর্ষা মৌসুমে খালের সংযোগ রাস্তাটি তলিয়ে যাচ্ছে।
আর ব্রিজটির সংযোগ রাস্তার ব্যাপারে ভালো তথ্য দিতে পারেননি কুলটিয়া ইউপির চেয়ারম্যান শেখরচন্দ্র।
হরিদাসকাঠি ইউপি চেয়ারম্যান বিপদভঞ্জন পাড়ে বলেন, ‘ওই ব্রিজটি কুলটিয়া ইউপির মধ্যে। ব্রিজ ও রাস্তা সচল রাখতে ওই ইউপির চেয়ারম্যানকে উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি উদ্যোগ না নিলে আমার অংশের রাস্তায় কাজ করিয়ে লাভ নেই।’সূত্র, সুবর্ণভূমি

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *