Type to search

শেষ ভরসার কাঠের সেতুটি তিন মাস ভেঙে পড়ে থাকায় এলাকাবাসীর দুর্ভোগ

নড়াইল

শেষ ভরসার কাঠের সেতুটি তিন মাস ভেঙে পড়ে থাকায় এলাকাবাসীর দুর্ভোগ

নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার নবগঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত কাঠের সেতুটি ভেঙে
পড়ায় এলাকাবাসীর দুর্ভোগ চরমে। ভেগে পড়া সেতুটি পুননির্মানের কোনো
উদ্যোগ নেই।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এ দৃশ্য দেখা যায়। প্রায় তিন মাস ধরে লোহাগড়া
পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড ও ৮নং ওয়ার্ডের নবগঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত লোহার
সেতুটি ভেঙে পড়ে আছে। সেতুটি ক্ষতিগ্রস্থ্য হওয়ার পর থেকে এ পথের যাত্রী,
স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়।
নবগঙ্গা নদীর উত্তরে চোরখালী, জয়পুর আর ছাতড়া গ্রাম নিয়ে গঠিত ১ নং
ওয়ার্ড। নদীর দক্ষিণে কচুবাড়িয়া, রামপুর, শিংগা আর মশাঘুনি নিয়ে গঠিত
পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড। পৌরসভার পশ্চিম এলাকার জনগণের যোগাযোগ নিরবচ্ছিন্ন
করার লক্ষে ২০০৮ সালে লোহাগড়া পৌর কর্তৃপক্ষ উত্তরের চোরখালি আর দক্ষিণের
কচুবাড়ীয়া গ্রামের নদীর ওপর একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করে। এতে পৌরবাসী
স্বল্প দূরত্বে জেলাশহরে যাতায়াত করতে পারে। ইতোমধ্যে ক্ষমতার পালাবদল
হলেও সেতুটি নির্মাণের একযুগে পরেও নির্মাণ করেনি সংযোগ সড়ক। তারপরেও
সাধারণ মানুষ পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতে পারছিল। কিন্তু চলতি বছরের জুন
মাসের শেষদিকে বালু ব্যবসায়ীরা তাদের ড্রেজার পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে আনার
ব্যবস্থা করতে গিয়ে সেতুটি মাঝ বরাবর ভেঙে ফেলে রাতের অন্ধকারে। এরপর
থেকেই চরম দুর্ভোগে পড়ে স্থানীয়রা।
কচুবাড়িয়া গ্রামের শ্যাম সুন্দর পাল বলেন, ব্রিজটা ভেঙে যাওয়ার পাঁচ
কিলোমিটার ঘুরে শহরের যেতে হয়। এতে আর্থিকভাবে যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি
তেমনি সময়ও নষ্ট হচ্ছে। ব্রিজটা দ্রুত মোরামত করে দিলেসময় বাঁচবে এবং
আর্থিক ক্ষতি থেকেও রক্ষা পাব।
ধোপাদাহ গ্রামের জাহিদুল হক বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েরা ওপারে মাদ্রাসায়
পড়ে। তারা এখন ঠিকমতো যেতে পারছে না। এ ছাড়া নড়াইল সদর হাসপাতালে ও
কোর্টে ঠিকমতো যেতে পারছি না। এক মিনিটের পথ এখন ঘুরে যেতে সময় লাগছে
একঘণ্টা। তারপর আবার সময়মতো এখানথেকে গাড়ি পাওয়া যায় না। ব্রিজটা আমাদের
খুবই জরুরি।
লোহাগড়া পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড এর কাউন্সিলর বিশ্বনাথ দাস ভুন্ডুল বলেন,
নবগঙ্গা নদীর উপর নির্মিত কাঠের সেতুটি প্রায় ৩ মাস আগে ড্রেজারের
ধাক্কায় ভেঙে গেছে জনগনের পারাপারে সমেস্যা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন আমি ও
পৌর মেয়র সেতুটি পরির্দশন করেছি, এ সেতুটি মেরামতের জন্য চেষ্টা করা
হচ্ছে।
এলাকাবাসীর দাবি, জেলার ‘সি’ শ্রেণির এই পৌরসভার চার ভাগের একভাগ মানুষের
সহজ যাতায়াতের জন্য সেতুটি যেন মেরামত করে ব্যবহার উপযোগী করা হয় এবং তার
মাধ্যমে শিশুদের স্কুলে যাতায়াত ও সাধারণের অফিস-আদালত, হাটবাজারসহ মূল
সড়কে সংক্ষিপ্ত যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দিয়ে মূল সড়কে সংযুক্ত করে দেওয়া
হয়।
লোহাগড়া পৌরসভার বর্তমান মেয়র মশিউর রহমান জানান, সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত
হওয়ার কথা তিনি জেনেছেন। তবে ক্ষতিপূরণ বা ড্রেজার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে
কোনো কথা বলতে পারেননি তিনি। এই মুহূর্তে সেতু মেরামতের কথা ভাবছেন না।
তবে সংসদ সদস্যের সঙ্গে কথা বলে স্থায়ী কংক্রিটের ব্রিজের নির্মাণের কথা
ভাবছেন।