এতে ক্ষতির পরিমাণ কমপক্ষে ৪০ কোটি টাকা। বেকার হয়েছেন এক হাজারের বেশি নারী। উদ্যোক্তাদের অভিযোগ, সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় তাদের কাউকেই রাখা হয়নি।
রংপুর নগরীরর মুন্সিপাড়ার শৈবাল খান। গেল ১২ বছর ধরে উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছেন। নিজের কারখানায় মেয়েদের তৈরি পোশাক ছাড়াও পাটজাত নানা পণ্য উৎপাদন করে থাকেন তিনি। করোনার কারণে গেল এক বছরের বেশি সময় ব্যবসা বন্ধ রাখার পর ঈদকে ঘিরে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন।
শৈবালের মতো রংপুর বিভাগে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা সাড়ে তিনশো থেকে চারশো জনের মতো। সরকারের কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পুঁজি হারিয়ে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন অর্ধেকের বেশি নারী উদ্যোক্তা। যারা এখনো সক্রিয় আছেন তারা অনলাইনসহ নানা প্ল্যাটফর্মে নিজেদের যুক্ত করে টিকে থাকার চেষ্টা করছেন।
নারী উদোক্তারা জানান,’করোনার মোকাবিলা করতেই সবাই হিমশিম। খুব কষ্ট হয়েছে। আমাদের ঘর থেকেই সব পুরণ করতে হয়েছে কর্মীদের চাহিদা। মেইন বিজনেস তো আমাদের এই ঈদের সময়। আমরা চেষ্টা করছি।’
ব্যাংক ঋণ পেতে জটিলতা, আর্থিক প্রণোদনা না পাওয়া এবং দীর্ঘ দিন ব্যবসা বন্ধ থাকায় পুঁজি সংকটে তাদের পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো অনেকটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নারী উদ্যোক্তারা জানিয়েছে,’আমাকে বলা হয়েছে প্রনোদণার লোন দিবো, কিন্তু তারা ট্রানজ্যাকশন চায়। দুই বছর ধরে যেখানে আমার দোকানই বন্ধ, সেখানে আমি ব্যাংক ট্রানজ্যাকশন কিভাবে করবো?’
নারী ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ বলছেন, স্থানীয় ও জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখা নারী উদ্যোক্তাদের টিকিয়ে রাখতে প্রণোদনাসহ সরকারকে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে আগ্রহ হারাবে উদ্যোক্তারা।
বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স কেন্দ্রীয় সদস্য জাকিয়া ফেরদৌস বলেন,’প্রধানমন্ত্রী নারী উদ্যোক্তাদের অনেকগুলো প্রনোদণা প্যাকেজ দিয়েছেন। কিন্তু সত্যি বলতে কি আমরা কোন ঋণই পাইনি।’
প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় নারী উদ্যোক্তাদের আনা না হলে তাদের টিকে থাকা ও নতুন করে ব্যবসা শুরু করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা। সূত্র,ডিবিসি নিউজ