Type to search

যাদের কাছে করোনার চেয়ে ক্ষুধার ভয় বেশি

বাংলাদেশ

যাদের কাছে করোনার চেয়ে ক্ষুধার ভয় বেশি

অপরাজেয় বাংলা ডেক্স : একদিকে লকডাউন, অন্যদিকে তীব্র রোদ। দুই একটা ভ্যান রিকশা ছাড়া সাধারণ মানুষের খুব একটা দেখা নেই। বেশিরভাগ দোকানপাট ছিল বন্ধ। এরই মধ্যে রাস্তায় বের হয়েছেন সোজা হয়ে হাঁটতে না পারা শারীরিক প্রতিবন্ধী মমিন হোসেন।

ক্ষুধার তাড়নায় অর্থের খোঁজে ঘর থেকে রাস্তায় নেমে আসতে হয়েছে সমাজের অবহেলা ও অনাদরে পড়ে থাকা মমিন হোসেনের মতো শারীরিক প্রতিবন্ধী ভাগ্যাহত মানুষদের। পেটের ক্ষুধা বলে কথা। সেখানে করোনার ভয়ও হার মেনেছে তাদের কাছে।

এমনই একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী মমিন হোসেন এর সঙ্গে। কঙ্কালসার শরীর নিয়ে গলায় ব্যাগ ঝুলিয়ে দুই একটি টাকার খোঁজে বের হয়েছেন রাস্তায়। তিনি দাঁড়াতে পারেন না। তাইতো তাকে বসে থেকেই হেঁটে হেঁটে যেতে হয় অর্থের খোঁজে। হাত দুটোও অচল।

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার এক নম্বর ধামইরহাট ইউনিয়ন হরিতকী ডাঙ্গা গ্রামে তার বাস। জন্মের পর পোলিও রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি পুরোপুরি বিকলাঙ্গ হয়ে যান। দরিদ্র বাবা-মা অনেক চেষ্টা করেও অর্থাভাবে তার চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারেননি।

ভারাক্রান্ত কন্ঠে চোখে জল নিয়ে মমিন বলেন, ‘চার বছর আগে মা মালেমা খাতুন মারা যান। অভাবের সংসারে বাবাই শুধু আমার একমাত্র সম্বল ছিলেন। তিনিও প্রায় দুই মাস আগে মারা যান। যত্ন আর অর্থ ছাড়া এই সমাজে মানুষ কতটা মূল্যহীন তা কিভাবে বোঝাই বলুন। এখন লকডাউন খাব কি তাও জানিনা।’

মমিন হোসেন আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমাদের করোনা নেই আমাদের আছে পেটের ক্ষুধা। পেটের ক্ষুধার জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে দুই এক টাকার জন্য ঘুরে বেড়াই। এই লকডাউনে খাবো কি? সমাজে আমাদের মত মানুষের কেউ খোঁজ রাখে না।’

তার অভিযোগ প্রতিবন্ধী কার্ড পেলেও তিনি নিয়মিত ভাতার টাকা পাননা।

এ বিষয়ে ধামইরহাট ১ নম্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বলেন, প্রতিবন্ধীর টাকা ব্যাংক দিয়ে থাকেন। আমরা সব সময় চেষ্টা করে থাকি তারা যেন খুব সহজেই টাকা পান। বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।সূত্র,ঢাকাটাইমস

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *